কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, গোটা অঞ্চল যেন খণ্ডহর। মেট্রো রেলের ঘেরাও জায়গার মধ্যে কাজ চলছে। বাইরে রাস্তার ধারে ভেঙে পড়া বাড়ি, যেগুলি নতুন করে তৈরি হওয়ার কথা, সেখানে ইতিউতি কাজ করছেন কর্মচারীরা। ছেনি, হাতুড়ি দিয়ে চলছে দেওয়াল ভাঙার কাজ। ‘আচ্ছা বলুন তো, যেখানে এতগুলি মানুষের ভবিষ্যৎ জড়িত, সেখানে এই হাতুড়ি লাগিয়ে কতদিনে বাড়িগুলি ভাঙবে! কতদিনেই বা নতুন বাড়ি তৈরি হবে?’ বললেন অপর ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা জয়ন্ত শীল। তিনি ১৩এ, দুর্গা পিতুরি লেনের বাসিন্দা। তাঁর কথায়, ‘সাড়ে পাঁচ বছর হল ঘরছাড়া হয়ে আছি। কবে যে এই যাযাবর দশা কাটবে, জানি না!’
মেট্রো বিপর্যয়ে বউবাজারে ২৪টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, জানুয়ারি থেকে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে কাজ কিছুই চোখে পড়ছে না। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ২৩টি বাড়ি নির্মাণের জন্য বিল্ডিং প্ল্যানে অনুমোদন দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু, তার সার্ভিস চার্জ বাবদ যে ‘ডিমান্ড’ পুরসভা মেট্রো রেলকে পাঠিয়েছে, হপ্তা দুয়েক হয়ে গেলেও সেই টাকা জমা পড়েনি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে। সুদীপ্তবাবুর কথায়, ‘বাড়ি কবে হবে, সেই কথা কিন্তু মেট্রো আধিকারিকরা কেউ বলছেন না। বাড়ির প্ল্যানে পুরসভা অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু, মেট্রো টাকা জমা না দিলে বাড়ি তৈরির কাজ তো এগবে না।’ নির্মাণকারী সংস্থা কেএমআরসিএল সূত্রে খবর, তারা শুধুমাত্র নির্মাণকারী সংস্থা। ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ির তৈরির গোটা বিষয়টি মেট্রো কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারাই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। কবে টাকা জমা দেওয়া হবে কিংবা কবে কাজ শুরু হবে, সেটা মেট্রোই জানে। নিজস্ব চিত্র