কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ
খাতড়ার মহকুমা শাসক শুভম মৌর্য বলেন, জিনাতের জন্য গত কয়েকদিন ধরেই আমরা উদ্বেগে ছিলাম। পুরুলিয়া সংলগ্ন রানিবাঁধের দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিএনএসের ১৬৩ ধারা জারি করতে হয়েছিল। মুকুটমণিপুর জলাধারের পশ্চিম দিকে ডিয়ার পার্কে পর্যটকদের যাতায়াতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এদিন জিনাতকে বনদপ্তর ধরতে সক্ষম হয়েছে। আমরাও ঘটনাস্থলে ছিলাম। জিনাত খাঁচাবন্দি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যাবতীয় বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ছুটির দিনে মুকুটমণিপুরে প্রচুর ভিড় হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই বাঁকুড়া-পুরুলিয়া সীমানায় কার্যত ‘বাঘে-মানুষে’ টানাটানি চলছিল। ওড়িশা থেকে আসা বাঘিনি জিনাত বনকর্মীদের কার্যত নাকানিচোবানি খাওয়াচ্ছিল। সিমলিপাল ও সুন্দরবন অভয়ারণ্য থেকে আসা বাঘ বিশেষজ্ঞদেরও জিনাত কার্যত ঘোল খাইয়ে ছেড়েছে। বনকর্মীদের এক ঝলক দেখা দিয়েও সে গভীর জঙ্গলে গা ঢাকা দিচ্ছিল। মুকুটমণিপুর জলাধারের খুব কাছেই জিনাত গত কয়েকদিন ঘাঁটি গেড়েছিল। ফলে পর্যটনের মরশুমে তা প্রভাব ফেলবে বলে আধিকারিকরা আশঙ্কা করেছিলেন। তবে জিনাতের আতঙ্ক স্থানীয়দের মধ্যে ছড়ালেও পর্যটকদের তেমন বিচলিত করতে পারেনি। কেউ কেউ আবার জিনাতকে চাক্ষুষ করতে উৎসুকও ছিলেন।
রবিবার ছুটির দিন থাকায় বাঁকুড়ার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র মুকুটমণিপুরে ভালোই ভিড় হয়েছিল। পর্যটক ও পিকনিক করতে আসা লোকজন মুকুটমণিপুর উপচে পড়ে। জিনাতের ভয় উপেক্ষা করেই পর্যটকরা সেখানে ভিড় জমান। মুকুটমণিপুরের পাশাপাশি এদিন শুশুনিয়া, বিহারিনাথ পাহাড়, সুতান, ঝিলিমিলি সহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রেও এদিন ভ্রমণপিপাসুরা ভিড় করেন। দুর্গাপুর ব্যারেজ সংলগ্ন বড়জোড়ায় দামোদরের তীরেও অনেকে পিকনিক সারেন।
মুকুটমণিপুরে পিকনিক করতে আসা দুর্গাপুরের কলেজ ছাত্রী সৌমি চৌধুরী, ঘাটালের বাসিন্দা পেশায় ব্যাঙ্ক কর্মী অবিনাশ মণ্ডল বলেন, অনেক আগে থেকেই পিকনিকের দিনক্ষণ স্থির হয়েছিল। গত দু’দিন ধরে মুকুটমণিপুর জলাধারের আশপাশে বাঘের ঘোরাফেরা করার খবর সংবাদমাধ্যমে দেখাচ্ছিল। তা নিয়ে অনেকে সতর্কও করছিলেন। ভয়ভীতি উপেক্ষা করেই আমরা এদিন এসেছি। পিকনিকের পাশাপাশি জিনাতের দেখা পাওয়া গেলে আরও ভালো লাগত। কিন্তু, এদিন প্রশাসনের তরফে জলাধারের ওপারে আমাদের যেতে দেওয়া হয়নি। শুনেছি বাঘ খাঁচাবন্দি হয়েছে।