জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ আগেই পকেটে পুরেছিল ভারত। কিন্তু বুধবার সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ ওডিআই’তে যে জস বাটলারদের কচুকাটা করে ১৪২ রানে আসবে জয়, তা ভাবা যায়নি। ৩৫৬ তাড়া করে মাত্র ৩৪.২ ওভারে ইংল্যান্ডের ২১৪ রানে থেমে যাওয়ায় স্পষ্ট, কতটা দাপট ছিল টিম ইন্ডিয়ার। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং— তিন বিভাগেই রীতিমতো বিপক্ষের কান মুলে দিল ভারত। ইংল্যান্ডকে দেখাল চরম অসহায়। দুরন্ত সেঞ্চুরিতে এদিনের জয়ের কারিগর অতি অবশ্যই শুভমান গিল। টিম ইন্ডিয়ার সহ-অধিনায়ক এই সিরিজে অনবদ্য ধারাবাহিকতা দেখান। তবে প্রথম দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি আসেনি। এদিন জীবনের ৫০তম একদিনের ম্যাচে পূর্ণ করলেন সপ্তম শতরান। গুজরাত কিংসের ক্যাপ্টেন হিসেবে এই মাঠের সঙ্গে এমনিতেই বিশেষ সম্পর্ক গিলের। তারই প্রতিফলন ঘটিয়ে ১০২ বলে উপহার দিলেন ১১২ রানের ইনিংস। মারলেন ১৪টি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কা। বড় শটের ফুলঝুরিতে গ্যালারি মাতালেন তিনি।
রবিবার কটকে সেঞ্চুরির পর রোহিত (১) অবশ্য এদিন দু’বলের বেশি টেকেননি। তবে তাঁর ব্যর্থতা টের পেতে দেননি গিল। তিনে নেমে বিরাটকেও দেখাল দাপুটে মেজাজে। মনে হচ্ছিল, বড় রান আসছে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে উঠল ১১৬। কিন্তু এরপরই ছন্দ কাটল। আদিল রশিদের লেগস্পিন ফের ঘাতক হয়ে উঠল। ৫২ রানেই থেমে গেলেন ভিকে। চার নম্বরে নামা শ্রেয়স (৭৮) অবশ্য শতরানের দিকে দ্রুত গতিতে এগচ্ছিলেন। বাইশ গজে দারুণ স্বচ্ছন্দ দেখাচ্ছিল মুম্বইকরকে। কিন্তু তাঁকেও ফিরতে হল রশিদের ভেল্কিতে। অভিজ্ঞ লেগস্পিনার চার উইকেট না নিলে ভারতকে ৩৫৬ রানে থামানোও কঠিন হতো ইংল্যান্ডের পক্ষে। ওডিআই’তে মোতেরায় এটাই সর্বাধিক স্কোর। এদিন শ্রেয়স, কোহলি ছাড়াও রান পেলেন লোকেশ রাহুল। পাঁচে নেমে ২৯ বলে ৪০ করলেন কেএল। বোঝালেন, পরে নেমে দ্রুত রান তোলাতেও ভরসা রাখা যায় তাঁর উপর।
সামি, জাদেজাকে এদিন বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। হঠাৎ চোট পাওয়ায় খেলেননি বরুণ চক্রবর্তীও। তবে কারও অভাব টের পাওয়া যায়নি। ইংল্যান্ড অবশ্য প্রথম উইকেটে ঝড়ের গতিতে ৬০ রান তুলে ফেলেছিল। কিন্তু তারপরই নামে ধস। অর্শদীপ সিং ফেরালেন দুই ওপেনারকে। এরপর স্পিন-জালে বন্দি হলেন ব্রিটিশরা। অক্ষর প্যাটেল বোল্ড করলেন জো রুটকে (২৪)। দ্বিতীয় স্পেলে বাটলারের পর হ্যারি ব্রুকের স্টাম্পও ছিটকে দিলেন হর্ষিত রানা। হার্দিক পান্ডিয়া তৃতীয় পেসারের ভূমিকায় যথারীতি নির্ভরযোগ্য। কুলদীপ যাদব, ওয়াশিংটন সুন্দরও স্পিনের জালে ফাঁসালেন বিপক্ষকে। ক্রিকেটপ্রেমীদের এখন একটাই প্রার্থনা, বোলিং আক্রমণ যেন এমনই তীক্ষ্ণ থাকে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যশপ্রীত বুমরাহ নেই যে!