সন্তানের স্বাস্থ্যহানির কারণে মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। পরীক্ষায় মনোমতো ফললাভ ও নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ। ... বিশদ
ম্যাচের মাঝপথে হর্ষিত রানার দলে ঢোকাকে এভাবেই চিহ্নিত করলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার। শুক্রবার ব্যাটিংয়ের সময় শিবম দুবের মাথায় বল লাগায় কনকাসন সাব হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। টি-২০ ফরম্যাটে এটাই ছিল হর্ষিতের অভিষেক। আবির্ভাবেই দুরন্ত বোলিংয়ে নজর কাড়লেন ২৩ বছর বয়সি পেসার। তিন উইকেট নিয়ে ভারতের জয়ে বড় ভূমিকা নেন তিনি। ম্যাচ শেষে বাটলার সাফ বলেন, ‘শিবমের যথাযথ বিকল্প নয় হর্ষিত। ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নই আমরা। শিবম মূলত একজন ব্যাটসম্যান। আর হর্ষিত পেস বোলার। তাদের মধ্যে মিল কোথায়! শিবমের বলের গতি যদি ঘণ্টায় অন্তত ২৫ কিমি বেশি হতো কিংবা ব্যাটিংয়ে বিশাল উন্নতি করত হর্ষিত, তাহলে এটাকে যথাযথ বলা যেত।’
হর্ষিতকে ‘কনকাসন সাব’ বেছে নেওয়ার আগে ম্যাচ রেফারি জাভাগল শ্রীনাথের তরফে ইংল্যান্ড শিবিরকে কিছু জানানো হয়নি বলেও মন্তব্য বাটলারের। তাঁর কথায়, ‘আমি ব্যাট করতে গিয়ে চমকে যাই। ভাবছিলাম, হর্ষিত কার জায়গায় এল? পরে শুনলাম যে, ও কনকাসন সাব হিসেবে খেলছে। ম্যাচ রেফারিই ভারতের প্রস্তাবে শিলমোহর দিয়েছে। ফলে আমাদের কিছু বলার ছিল না। তবে হ্যাঁ, আমার কাছে এটা আইপিএলের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের মতোই ঠেকেছে। এই নিয়ে ম্যাচ রেফারির সঙ্গে কথা বলতে হবে। (মজার সুরে) পরের বার টস হওয়ার সময় বলব যে, এই ম্যাচে আমরা ১২জনকে খেলাতে চলেছি।’
ভারতের বোলিং কোচ মর্নি মর্কেল এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘মাথায় বল লাগার কারণে ব্যথা অনুভব করছিল শিবম। তাই ইনিংসের বিরতিতে পরিবর্ত হিসেবে আমরা একটা নাম পাঠাই ম্যাচ রেফারির কাছে। বাকিটা ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্ত। হর্ষিত তখন ডিনার করছিল। তড়িঘড়ি খাওয়া শেষ করে ও তৈরি হয়ে নেয় মাঠে নামার জন্য। মানতেই হবে যে, অভিষেকেই দারুণ বল করেছে।’ তবে মর্কেল যাই বলুন, হর্ষিতকে নিয়ে বিতর্ক থামছে না। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও প্রশ্ন তুলেছেন ‘কনকাসন সাব’ হিসেবে তাঁকে বেছে নেওয়ার যথার্থতা নিয়ে।