সন্তানের স্বাস্থ্যহানির কারণে মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। পরীক্ষায় মনোমতো ফললাভ ও নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ। ... বিশদ
শনিবার চোটের কারণে আলবার্তো ছিলেন না। অনিরুদ্ধও আনফিট। মোলিনার ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে বদল না এলেও শুরুতে কিছুটা সতর্ক দেখায় মোহন বাগানকে। তবে লিড পেতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ম্যাচের ১২ মিনিটে লক্ষ্যভেদ শুভাশিস বসুর। এক্ষেত্রে লিস্টনের কর্নার ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ মহমেডান রক্ষণ। জটলায় ছিলেন শুভাশিস। ছোট্ট টোকায় পদম ছেত্রীকে হার মানান তিনি (১-০)। ছ’গজের বক্সে মহমেডান ডিফেন্ডাররা স্রেফ দাঁড়িয়ে রইলেন। গ্যালারিতে আলোচনা, ফ্লোরেন্টরা হয়তো ভাবছেন, কখন অ্যাকাউন্টে স্যালারি ঢুকবে। আট মিনিট পরেই মনবীরের লক্ষ্যভেদ। এবার কামিংসের বাঁ পায়ের সোয়ার্ভিং কর্নারে মাথা ছোঁয়ান মনবীর (২-০)। অদ্ভুতভাবে প্রথম পোস্ট ফাঁকা রাখল সাদা-কালো রক্ষণ। দুর্ভোগ বাকি ছিল এরপরেও। বিরতির আগেই ৩-০। কামিংসের ফ্রি-কিক ছোট্ট ব্যাকহিলে সাজিয়ে দেন ম্যাকলারেন। বিশ্বকাপারের টাচে রাশি রাশি মুগ্ধতা। বিপক্ষের সাজ্জাদ হোসেনকে ঘাড়ে নিয়ে চলতি বলে চিতার ক্ষিপ্রতায় জাল কাঁপালেন সেই শুভাশিস। চলতি টুর্নামেন্টে তাঁর ষষ্ঠ গোল। মরশুমের শুরুতে নড়বড় করলেও এদিন অন্যতম সেরা ফুটবল খেললেন সোনারপুরের ফুটবলার। ম্যাচ ওখানেই শেষ। আর তা বুঝেই ডাগ-আউটে মাথায় হাত মেহরাজের। প্রথমার্ধের সংযাজিত সময়ে টমকে অহেতুক লাথি মেরে লাল কার্ড দেখেন কাসিমভ। চূড়াম্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়ে স্রেফ পালিয়ে গেলেন উজবেক ফুটবলার। কর্তাদের উচিত অবিলম্বে জবাবদিহি চাওয়া। দুর্বল ম্যানেজমেন্ট পেয়ে ওঁরাও সাপের পাঁচ পা দেখছেন।
একতরফা আক্রমণের ছবি বিরতির পরেও বদলায়নি। ৫২ মিনিটে কামিংসের সেন্টারে স্পট জাম্প করে বল জালে জড়ান মনবীর (৪-০)। উইথড্রন স্ট্রাইকারের ভূমিকায় সবুজ ঘাসে মেরুন পাপড়ি মেললেন ম্যাচের সেরা কামিংস। বাকি সময়টা হাঁটি হাঁটি ফুটবলে বলের দখল রাখলেন লিস্টনরা। ৮১ মিনিটে পেত্রাতোসের শট পোস্টে প্রতিহত হয়। গোল করতে পারতেন যে কেউই। কাঁধ ঝুলে যাওয়া মহমেডান ফুটবলারদের জিভ শেষ পর্বে বেরিয়ে গেল। ক্ষুব্ধ সাদা-কালো সমর্থকরা ‘গো ব্যাক’ধ্বনিও দিলেন। কিন্তু কর্তারা কোথায়? ক্লাব দখলের রাজনীতিতে লজ্জা, ঘেন্না বিসর্জন দিয়েছেন তাঁরা।
মোহন বাগান: বিশাল, আশিস, দীপ্যেন্দু (সৌরভ),আলড্রেড, শুভাশিস, আপুইয়া, সাহাল (অভিষেক), মনবীর (পেত্রাতোস), লিস্টন (আশিক), কামিংস (গ্রেগ) স্টুয়ার্ট) ও ম্যাকলারেন
মহমেডান: পদম, সাজ্জাদ (গৌরব), ফ্লোরেন্ট, ইরশাদ (লালরিনফেলা),জুডিকা, কাসিমভ, আলেক্সিস (আন্দ্রে), রেমসাঙ্গা (অ্যাডিসন), মনবীর (অমরজিৎ), জো জোহেরলিয়ানা ও ফ্রাঙ্কা।
মহমেডান স্পোর্টিং-০ : মোহন বাগান-৪
(শুভাশিস-২, মনবীর-২)