মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ
লম্বা সফরে পরিবারের উপস্থিতি পেশাদার খেলোয়াড়ের কাছে ঠিক কী? যুক্তি-পাল্টা যুক্তি বাইশ গজের খেলা ছাপিয়ে অন্য ক্রীড়াতেও যথেষ্ট। কারও মতে, তা ফোকাস ঠিক রাখার পথে প্রতিবন্ধকতা। কেউ কেউ আবার মনে করেন, মারাত্মক চাপ কাটাতে সহায়ক হয়ে ওঠে তা। সদ্য ডনের দেশে ভরাডুবির পর বিসিসিআই অবশ্য নিয়ম আর শৃঙ্খলার বেড়াজালে আষ্ঠেপৃষ্ঠে বাঁধতে চেয়েছে ক্রিকেটারদের। দীর্ঘ সফরে ঠিক কতদিন সঙ্গে থাকতে পারবে পরিবার, সেই সীমা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। অবধারিতভাবেই তাতে আপত্তি থাকছে ক্রিকেটারদের। বোর্ডের সঙ্গে কথা বলতে হবে, রোহিত শর্মার মন্তব্যেই তা স্পষ্ট। আর এই ইস্যুতে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে ব্যাট করতে দেখা গেল খোদ বিপক্ষ অধিনায়ককেই!
মঙ্গল-দুপুরে ইডেনের মিডিয়া সেন্টারে বসে জস বাটলার সাফ বলে দিলেন, ‘আমরা আধুনিক দুনিয়ায় বাস করি। এখানে পরিবারকে পাশে পাওয়া অত্যন্ত জরুরি। প্রচুর ক্রিকেট খেলতে হয় আমাদের। দীর্ঘ সময় থাকতে হয় বাড়ির বাইরে। তাই বাড়ির লোকজন সঙ্গে থাকলে কোনও সমস্যাই হয় না। এতে বরং চাপ কেটে যায়।’ এটা মনে করলে অবশ্য ভুল হবে যে বুধবার নন্দনকাননে সিরিজের পয়লা টি-২০ ম্যাচে এমনই বন্ধুত্বপূর্ণ আবহ থাকবে। কারণ, তার আগেই বাটলার জানিয়ে দিয়েছেন পূর্ণশক্তির দল নিয়ে হোমটিমের উপর ঝাঁপানোই লক্ষ্য ব্রিটিশদের। তাঁর কথায়, ‘সবাইকে পাচ্ছি। চোট-আঘাত নেই। কেউ বিশ্রামেও নেই। আকর্ষণীয় সিরিজ হবে।’
এটা ঘটনা যে ইংল্যান্ড দল পুরনো টেমপ্লেট ঝেড়ে ফেলে নতুন উদ্যমে শুরু করছে। পরের বছর ভারত ও শ্রীলঙ্কায় কুড়ি ওভারের বিশ্বযুদ্ধ। তাই খোলনলচে বদলেছে দলের। কোচের দায়িত্বে এসেছেন ব্রেন্ডন ম্যাকালাম। স্কোয়াডে থাকা আটজন আবার কখনও ভারতে খেলেননি। তবে ব্যাটিং গভীরতাই স্বস্তি দিচ্ছে ক্যাপ্টেনকে। বাটলারের মতে, ‘বোলাররা সবাই ব্যাটিং পারে। তাই আগাগোড়া আগ্রাসী থাকতে অসুবিধা হবে না।’
পরিষ্কার, মাঠের বাইরে পরিবার নিয়ে যতই বন্ধুত্বের বার্তা থাক, সীমানার দড়ির ভিতরে বাটলারদের মেজাজটা যুদ্ধং দেহিই থাকছে!