মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ
সাদা চোখে এই সিরিজের গুরুত্ব অনুধাবন করা কঠিন। গত আগস্ট থেকে এই ফরম্যাটে সূর্যকুমাররা অপরাজিত। প্রথমে শ্রীলঙ্কা, তারপর বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। টি-২০ বিশ্বকাপ জেতার পর কোহলি, রোহিতের মতো তারকাদের অবসরে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছিল, তা পূরণ হয়েছে সূর্য, সঞ্জুদের দুরন্ত পারফরম্যান্সে। কিন্তু সেটা তো মুদ্রার এক পিঠ। অন্য পিঠে শুধুই হতাশা ও না পাওয়ার যন্ত্রণা। প্রথমে নিউজিল্যান্ডের কাছে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ, তারপর অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে নাকানিচোবানি এবং সর্বোপরি ডব্লুটিসি ফাইনালে খেলার স্বপ্নভঙ্গ। তাই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে জয় দিয়ে অভিযান শুরুর জন্য প্র্যাকটিসের আগে কালীঘাটে ছুটেছিলেন গম্ভীর। তাতে ভাগ্যের চাকা ঘোরে কিনা, তা সময়ই বলবে।
লড়াইটা কি কেকেআর বনাম কেকেআরের? হয়তো তাই। একদিকে, ম্যাকালাম, ফিল সল্ট। অন্যদিকে, গম্ভীর, সূর্য, রিঙ্কু, বরুণরা। কেউ প্রাক্তন, কেউ বর্তমান নাইট। ইডেন তাই তাঁদের কাছে খুবই চেনা। ম্যাচে যা বড় ফ্যাক্টর হতে পারে। টেস্টের পর ইংল্যান্ডের টি-২০ দলের কোচ হয়েছেন ম্যাকালাম। তাঁর কোচিং দর্শন হল ‘বাজবল’, অর্থাৎ ভয়ডরহীন ক্রিকেট। যে দলে বাটলার, সল্ট, লিভিংস্টোনের মতো ব্যাটসম্যান রয়েছেন, সেই দলের কোচের চিন্তা কীসের। ম্যাচের আগেই প্রথম একাদশ জানিয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড। চার পেসারে বাটলারের দল সাজানোর মধ্যে এটা স্পষ্ট, ইডেনের পিচে স্পিনাররাদের বাড়তি সুবিধা পাওয়ার আশা নেই। কারণ, শিশির পড়ছে। বল গ্রিপ করতে সমস্যা হবে।
ভারতের অনুশীলন দেখে মনে হল, সামির কামব্যাক মঞ্চ হতে যাচ্ছে বুধবারের ইডেন। তাঁর সঙ্গী হতে পারেন অর্শদীপ। পেস অলরাউন্ডার হিসেবে হার্দিক পান্ডিয়ার জায়গা পাকা। ওপেন করতে পারেন অভিষেক শর্মা ও সঞ্জু স্যামসন। সূর্য তিনে, চারে তিলক ভার্মার খেলতে পারেন। পাঁচে রিঙ্কু সিং। সহ-অধিনায়ক হওয়ার সুবাদে অক্ষর প্যাটেলেরও এই ম্যাচে খেলা উচিত। তবে চর্চায় রয়েছেন নীতীশ রেড্ডি, ওয়াশিংটন সুন্দরও।
ম্যাচ শুরু সন্ধ্যা ৭টায়। স্টার স্পোর্টসে সরাসরি সম্প্রচার।