নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শীতের শহরে টি-২০’র উত্তাপ ছড়িয়ে অনুশীলনে নেমে পড়লেন সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়ারা। লাল বলের ক্রিকেটে ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই সিরিজ টিম ইন্ডিয়ার কাছে হয়ে উঠেছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারপর ওয়ান ডে সিরিজ এবং ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। বলা ভালো, আইসিসি’র সেই মেগা টুর্নামেন্ট অনেকের কাছেই হতে চলেছে কেরিয়ারের ডেডলাইন। শুধু রোহিত, কোহলি নন, কোচ গৌতম গম্ভীরও আতস কাচের তলায়। তাই দলকে জয়ের সরণিতে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টার কোনও কসুর রাখছেন না তিনি। রবিবার টিম ইন্ডিয়ার অনুশীলনে দফায় দফায় ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার ও হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে আলোচনা করেছেন। কথা বলেছেন, সামির মতো সিনিয়র ক্রিকেটারের সঙ্গে। আসলে গম্ভীর বুঝতে পারছেন, অস্ট্রেলিয়া সফরে ব্যর্থতার জেরে দলের উপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ কিছুটা হলেও আলগা হয়েছে। তার বড় উদাহরণ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল নির্বাচন। তিনি সহ-অধিনায়ক হিসেবে চেয়েছিলেন হার্দিককে। কিন্তু তা মানেননি ক্যাপ্টেন রোহিত। তাঁকে সমর্থন করেন নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর। একইভাবে, উইকেটরক্ষক চয়নের সময় নাকি কোচ ও ক্যাপ্টেনের বিভাজন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল, যার সূত্রপাত হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া সফরে। গম্ভীরও সহজে হাল ছাড়ার পাত্র নন। তিনিও ঘর গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন। প্র্যাকটিসের ফাঁকে হার্দিকের সঙ্গে তাঁর ‘খোশ গল্প’ কি তারই ইঙ্গিত? জল্পনা ছড়াচ্ছে ক্রিকেট মহলে। অনেকে বলছেন, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে হার্দিক-রোহিতের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে। সেটাকেই হয়তো কাজে লাগাতে চাইছেন ভারতীয় কোচ। মোদ্দা কথা, এই মুহূর্তে ভারতীয় দলের ড্রেসিং-রুমের পরিবেশ একেবারে ভালো নয়। ছাইয়ের নীচে ধিক ধিক করে আগুন জ্বলছে। যে কোনও মুহূর্তে তা দাবানলের রূপ নিতে পারে।
ভারতীয় ক্রিকেটে মুম্বই ও দিল্লি লবির লড়াই নতুন নয়। তবে এখন সমীকরণ ভিন্ন। একই রাজনৈতিক দলের ছত্রছাতায় সকলেই আশ্রিত। তাই বোর্ডের এক কর্তা বলছেন, ‘সংসারে এসব ঘটেই থাকে। সব ঠিক হয়ে যাবে।’ হলে ভালো। না হলে সমূহ বিপদ।