সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত ১৯৮৪, ২০০৮ ও ২০১২— তিনবার ইউরো জিতেছে স্পেন। গতবারও সেমি-ফাইনাল খেলেছিল লা রোহা-ব্রিগেড। অন্যদিকে, ইউরো মঞ্চে এখনও পর্যন্ত কোয়ার্টার-ফাইনালের গণ্ডি টপকায়নি ক্রোয়েশিয়া। হেড টু হেডেও এগিয়ে স্প্যানিশ আর্মাডা। শেষ দশ বারের সাক্ষাতে ছ’বার জয়ী পেড্রিরা। এছাড়া ২০২২-২৩ উয়েফা নেশনস লিগের ফাইনালেও টাই-ব্রেকারে ক্রোয়েশিয়াকে বশ মানিয়েছিল লুইস ডে লা ফন্তের ছেলেরা। শনিবারও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে মরিয়া পেড্রিরা। তাঁদের সাম্প্রতিক ফর্মও মন্দ নয়। ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ড্রয়ের পাশাপাশি অ্যান্ডোরা ৫-০ এবং নর্দান আয়ারল্যান্ডকে ৫-১ ব্যবধানে হারিয়েছে স্পেন। লুইস ডে লা ফন্তের দলের মূল অস্ত্র অবশ্যই তারুণ্য। পেড্রি, রড্রিরা পাসের বন্যা বইয়ে প্রতিপক্ষকে মাত দিতে তৈরি। আক্রমণভাগে আলভারো মোরতা, নিকো উইলিয়ামসের সঙ্গে থাকবেন তরুণ লামিনে ইয়ামাল। ১৬ বছরের এই বিস্ময় বালক বার্সেলোনার জার্সিতে দাগ কেটেছেন। তবে চোটের জন্য এই ম্যাচে খেলতে পারবেন না লাপোর্তে। তাঁর জায়গায় প্রথম একাদশে আসতে পারেন নাচো। ম্যাচের আগে তারকা মিডিও পেড্রি বলেন, ‘টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে হার দিয়ে অভিযান শুরুর পর খেতাবও জিততে দেখেছি অনেক দলকে। তাই ফলের কথা ভাবছি না। চাপমুক্তভাবে মাঠে সেরাটা উজাড় করে দেওয়াই লক্ষ্য থাকবে।’
পক্ষান্তরে, ইউরোর পরিসংখ্যান দিয়ে ক্রোয়েশিয়ার মূল্যায়ন করা উচিত নয়। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের রানার্স জ্লাতকো ডালিচের দল। এছাড়া কাতারেও তৃতীয় স্থানে থেকে মেগা আসর শেষ করে ক্রোটরা। দলের মাঝমাঠের ইঞ্জিন লুকা মডরিচ দারুণ ফর্মে। সম্প্রতি রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে লা লিগার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন্স লিগও জিতেছেন তিনি। মাঝমাঠে তাঁকে সঙ্গত করতে তৈরি কোভাসিচ, ব্রোজোভিচরা। আক্রমণভাগের ভরসা ক্রামারিচ, বুডিমার। পাশাপাশি ডালিচ-ব্রিগেডের সাম্প্রতিক ফর্মও দুর্দান্ত। শেষ ছয় ম্যাচের প্রত্যেকটি জিতেছে তারা। সেই পথে পর্তুগালকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছেন মডরিচরা। ছন্দ ধরে রেখে ইউরোতে জয় দিয়ে অভিযান শুরু করাই লক্ষ্য ক্রোট-ব্রিগেডের। ম্যাচের আগে কোচ ডালিচের মন্তব্য, ‘স্পেন বেশ শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’