সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
কাতার বিশ্বকাপে দেখা গিয়েছিল মডিউলার স্টেডিয়াম। তবে ক্রিকেটে প্রচলন এই প্রথম। ২০২৩ সালে নিউ ইয়র্কে এই মাঠ গড়ার সিদ্ধান্ত নেয় আইসিসি। মেগা আসরের আগে মাত্র ১০৬ দিনে স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে অস্থায়ী স্টেডিয়ামটি গড়া হয়, যা চাইলেই অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। আবার মাঠের ঘাস তৈরি হয়েছে ফ্লোরিডায়। পাশাপাশি অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান লাস ভেগাসের ফর্মুলা ওয়ান রেস ও গল্ফ কোর্স থেকে ধার করে এনেছিলেন মাঠকর্মীরা। এছাড়া নিউ ইয়র্কে ১০টি ড্রপ ইন পিচও নিয়ে আসা হয়। এই স্টেডিয়াম বানাতে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
মেগা আসরে নাসাউয়ে মোট ৮টি ম্যাচ খেলা হয়। একটি ওয়ার্ম-আপ সহ ৪টি ম্যাচ খেলে ভারত। তারমধ্যে অন্যতম ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। এই মহারণে ৩৪ হাজারের ফুল গ্যালারির সাক্ষী থেকেছে নাসাউ। তবে নিউ ইয়র্কের পিচ নিয়ে বারংবার প্রশ্ন উঠেছে। নাসাউয়ের উইকেটে অসমান বাউন্স নিয়ে আইসিসিও বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। বিশ্বকাপে এই ভেন্যুতে সর্বাধিক ১৩৭ রান উঠেছে। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে যা ৭ উইকেটে তুলেছিল কানাডা। আর আমেরিকার বিরুদ্ধে সর্বাধিক ১১১ রান তাড়া করে জিতেছে ভারত। বলাই বাহুল্য, এই অস্থায়ী স্টেডিয়ামে বোলারদের জন্য বাড়তি সুবিধা ছিল। রান কম ওঠায় প্রায় প্রতি ম্যাচেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। যাইহোক, সেসব এখন অতীত। মুছে যাচ্ছে বাইশ গজ, গ্যালারিও। আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যেই নাসাউ স্টেডিয়ামের অস্তিত্ব একেবারে বিলীন হয়ে যাবে। শুধুমাত্র পরিসংখ্যানের স্কোরবোর্ডেই টিকে থাকবে নিউ ইয়র্কের এই ক্রিকেট গ্রাউন্ড।