সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
প্রশ্ন: কোপা আমেরিকায় অন্যতম ফেভারিট হিসেবেই অভিযান শুরু করবে আর্জেন্তিনা। এটা কতটা চাপের?
মেসি: যে কোনও টুর্নামেন্টে আর্জেন্তিনা সবসময় ফেভারিট। আমরা যখন কিছুই জিতিনি, তখনও এই চাপ নিয়ে খেলতে হয়েছে। তবে এবারের আসরে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। ব্রাজিল অবশ্যই খেতাবের অন্যতম দাবিদার। এছাড়া উরুগুয়ে, মেক্সিকো, চিলির মতো দল কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে।
প্রশ্ন: মার্কিন মুলুকে বসছে এবারের কোপার আসর। দু’বছর বাদে এই দেশেই হবে বিশ্বকাপ। সেখান কি আপনাকে দেখা যাবে?
মেসি: এটা এখনই বলা খুবই মুশকিল। পুরোটাই নির্ভর করছে ফিটনেসের উপর। আমি এই বিষয়ে বাস্তববাদী। তবে এখনও অনেক সময় আছে। এটা ঠিক যে, এখন আর আগের মতো চাপ নিতে হয় না। ইউরোপে থাকাকালীন তিনদিন অন্তর ম্যাচ হতো। একইসঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো আসরে সেরাটা মেলে ধরার চ্যালেঞ্জ থাকত।
প্রশ্ন: সম্প্রতি এমবাপে বলেছেন বিশ্বকাপের চেয়েও ইউরোর লড়াই কঠিন। এই প্রসঙ্গে আপনার কী মতামত?
মেসি: তাই নাকি! ইউরোর অবশ্যই গুরুত্ব রয়েছে। তবে যে টুর্নামেন্টে তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্তিনা, পাঁচবারের বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিল ও দু’বারের বিশ্বসেরা উরুগুয়ে খেলে না, সেই টুর্নামেন্ট কী করে কঠিন হতে পারে! আর বিশ্বকাপের লড়াই সবসময় আলাদা। আর তার জন্যই বিশ্বের সেরা দলগুলিই এই টুর্নামেন্টে অংশ নেয়। কোপা আমেরিকাও যথেষ্ট কঠিন লড়াই। সুতরাং কোনও টুর্নামেন্টকেই খাটো করে দেখা উচিত নয়।
প্রশ্ন: ইন্তার মায়ামিতে ইতিমধ্যেই যোগ দিয়েছেন লুইস সুয়ারেজ, বুস্কেতস, জর্ডি আলবা। আগামীতে কি নেইমারকেও এই ক্লাবের জার্সিতে দেখা যেতে পারে?
মেসি: নেইমারের সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। সুয়ারেজ, ও এবং আমার একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও আছে। নেইমার সদ্য চোট সারিয়ে রিহ্যাব শুরু করেছে। তাছাড়া আল হিলালের সঙ্গে আরও এক বছরের চুক্তি রয়েছে। তবে ভবিষ্যতে কী হবে, তা আমরা কেউই জানি না। তাছাড় ইন্তার মায়ামি আমার শেষ ক্লাব। তাই বিদায়ের আগে দলকে সেরা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য।
প্রশ্ন: কোপার পরই বসছে ওলিম্পিকসের আসর। কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো আপনাকে দলে পেতে আগ্রহী। আপনি কি দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন?
মেসি: এখন শরীর আর সঙ্গ দেয় না। পরপর দু’টি টুর্নামেন্ট খেলার অবস্থায় আমি নেই। আপাতত কোপা আমেরিকায় মনঃসংযোগ করতে চাই। তবে অবশ্যই চাইব, ওলিম্পিকসের আসরে ভালো করুক দেশ। সোনা জিতেই মাঠ ছাড়ুক পরের প্রজন্ম।