উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
(এমবাপে-পেনাল্টি) (মেসি)
(দু’লেগ মিলিয়ে ৫-২ ব্যবধানে জয়ী পিএসজি)
প্যারিস: মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জোড়া ইন্দ্রপতন। মঙ্গলবার টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর জুভেন্তাস। এবার পিএসজি’র সঙ্গে ড্র করে ছিটকে গেল লিও মেসির বার্সেলোনা। বুধবার প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি পর্বে ১-১ গোলে শেষ হল ম্যাচ। ফলে দু’লেগ মিলিয়ে ৫-২ ব্যবধানে জিতে শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত করল মরিসিও পোচেত্তিনোর দল। বুধবার আরও একবার পিএসজির হয়ে স্কোরশিটে নাম তোলেন কিলিয়ান এমবাপে। বার্সার একমাত্র গোলটি মেসির। উল্লেখ্য, প্রথম লেগে ক্যাম্প ন্যু’য়ে ৪-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল ফরাসি ক্লাবটি।
২০০৪-০৫ সালের পর ফের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার–ফাইনালে দেখা যাবে না মেসি কিংবা রোনাল্ডোকে। দুই মহাতারকার অনুপস্থিতিতে ইউরোপ সেরার লড়াইয়ের আকর্ষণ কমতে বাধ্য। ফুটবলমহলের একাধিক তারকা ব্যক্তিত্বের ধারণা, মেসি-রোনাল্ডো যুগ এখন শেষ পর্বে। বয়সের ছাপ তাঁদের পারফরম্যান্সে সুস্পষ্ট। ম্যাচের পর ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা দু’জনেরই হ্রাস পেয়েছে। পাশাপাশি এটাও ঠিক যে, সহ-ফুটবলারদের যোগ্য সঙ্গতও তাঁরা পাচ্ছেন না। এই বার্সেলোনায় মেসি কার্যত নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছেন। কার্লোস পুওল, জাভি, ইনিয়েস্তাদের যোগ্য উত্তরসূরি এখনও খুঁজে পায়নি বার্সেলোনা। তা সত্ত্বেও লুই সুয়ারেজ, ইভান র্যাকিটিচদের ছেড়ে দেওয়ার খেসারত এখন দিতে হচ্ছে কোম্যানকে। গ্রিজম্যান-ডেম্বেলেরা এখনও নিজেদের সেই উচ্চতায় নিয়ে যেতে চূড়ান্ত ব্যর্থ। পিএসজি’র বিরুদ্ধে ডেম্বেলে একাই তিনটি সোনার সুযোগ হারিয়েছেন।
চার বছর আগে এই পিএসজি’র বিরুদ্ধে স্বপ্নের প্রত্যাবর্তন ঘটেছিল বার্সেলোনার। প্রথম লেগে চার গোলে হারের পরেও ফিরতি পর্বে ৬-১ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন মেসি, সুয়ারেজরা। বুধবারও এমনই এক অঘটনের আশায় বুক বেঁধেছিলেন বার্সেলোনা সমর্থকরা। অ্যাওয়ে ম্যাচে শুরুটাও ভালো হয়েছিল কোম্যান-ব্রিগেডের। তবে সুযোগ তৈরি করলেই তো আর ম্যাচ জেতা যায় না। তারজন্য প্রয়োজন লক্ষ্যভেদের। প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে প্রথম ২০ মিনিটেই তিন গোলে লিড নিতে পারত বার্সা। তবে কাছা খুলে আক্রমণে যাওয়ার খেসারতও দিতে হয় তাদের। ৩০ মিনিটে বার্সেলোনার ফরাসি ডিফেন্ডার লেঙ্গলেটের ভুলে পেনাল্টি উপহার পায় পিএসজি। যা থেকে লক্ষ্যভেদে ভুল হয়নি এমবাপের (১-০)। তবে এই ফল দীর্ঘায়িত হয়নি। মিনিট ছয়েকের মধ্যে প্রতিপক্ষ বক্সের বাইরে থেকে বাঁপায়ের চোখ ধাঁধানো গোলে দলকে সমতায় ফেরান মেসি (১-১)। এই গোলের পর ফের আশায় বুক বাঁধেন কাতালন ক্লাবটির অনুরাগীরা। প্রথমার্ধের শেষ লগ্নের পেনাল্টিতে যা আরও জোরালো হয়। তবে মেসির স্পটকিক রুখে বার্সেলোনার প্রত্যাবর্তনের স্বপ্নে জল ঢেলে দেন পিএসজি’র গোলরক্ষক কেলর নাভাস। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পেনাল্টি ফের মারার নির্দেশ দেওয়া উচিত ছিল রেফারির। কারণ, মেসি শট নেওয়ার আগেই বক্সের ভিতরে ঢোকেন মার্কো ভেরাত্তি। যা অবৈধ। কিন্তু ভারের সাহায্যে শুধুমাত্র কেলর নাভাসের মুভমেন্টই খতিয়ে দেখা হয়। দ্বিতীয়ার্ধে প্রতিপক্ষ রক্ষণে চাপ বজায় রাখলেও, আর গোলের মুখ খুলতে পারেননি মেসিরা। যার ফলে ১-১ ব্যবধান ধরে রেখেই শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত করে পিএসজি।
দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিলেও ছেলেদের লড়াইয়ে খুশি কোচ কোম্যান। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘ছেলেদের লড়াই অবশ্যই প্রশংসনীয়। বিরতির আগে পেনাল্টি থেকে লক্ষ্যভেদ করতে পারলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতেই পারত। পাশাপাশি এটাও ঠিক যে, সুযোগ সদ্ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের আরও নিখুঁত হতে হবে।’