জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
প্রাক্তনীদের উৎসবে মূল আকর্ষণ স্মৃতিচারণের সঙ্গে বিশিষ্টজনের আলোচনা সভা। ১৯৯৭ সালে মহিষাদল রাজ কলেজের সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী অ্যাসোসিয়েশনের জন্ম। প্রায় তিন দশক আগে মেদিনীপুর জেলার কোনও কলেজে প্রথম প্রাক্তনীদের রেজিস্ট্রিকৃত সংগঠন তৈরি হয়। রাজ কলেজের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে এসেছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল কে ভি রঘুনাথ রেড্ডি। রাজবাড়ির ছোলাবাড়ি ময়দানে সেই অনুষ্ঠান হয়েছিল। ওইসময় সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রাক্তনী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। উদ্যোক্তা ছিলেন কলেজের তৎকালীন ইংরেজির অধ্যাপক হরিপদ মাইতি। কার্যত তাঁর হাত ধরেই সেই অনুষ্ঠানের পর তৈরি হয় মহিষাদল রাজ কলেজ প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী অ্যাসোসিয়েশন। হরিপদ মাইতি স্মৃতিচারণায় বলেন, ১৯৪৬ সালের ১ আগস্টে রাজা দেবপ্রসাদ গর্গের উদ্যোগে মহিষাদলের ঐতিহ্যবাহী লালবাড়িতে কলেজ শুরু হয়। কলেজের প্রথম প্রিন্সিপাল হয়েছিলেন রাজ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বিভূতিভূষণ প্রামাণিক। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং কলেজের অধ্যক্ষ গৌতমকুমার মাইতি বলেন, প্রাক্তনীদের ওই সংগঠন কলেজেরও গর্বের বিষয়। প্রাক্তনী অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ এবং মৃদুল দাস বায়েন বলেন, সংগঠনের মূল হোতা কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক ও গবেষক হরিপদ মাইতি। তাঁর নেতৃত্বে প্রতি রবিবার প্রাক্তনীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অর্থ সংগ্রহ করেছি সবাই। ২০০৫ সালে প্রাক্তনীদের সংগৃহীত ১২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কলেজে একটি ব্লক তৈরি হয়েছে। সেখানে বর্তমানে কলেজের ভূগোল বিভাগ রয়েছে। এছাড়া প্রাক্তনীরা কলেজের বিভিন্ন ফ্লোরে পরিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছে। বিভিন্ন সময়ে দুঃস্থ মেধাবীদের ভর্তির ব্যবস্থা ও বই কিনে সহায়তা করেছে সংগঠন। এবছর ফিজিক্স কক্ষে অনলাইন পাঠের জন্য দেড় লক্ষ টাকা খরচে স্মার্ট বোর্ড ও পোডিয়াম তৈরি করে দিচ্ছে। এবছর প্রাক্তনীদের অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখবেন অর্থনীতির অধ্যাপিকা রুশতি সেন ও বিখ্যাত নিউরো সাইকোলজিস্ট অভিষেক হংস। প্রাক্তনী পুনর্মিলন উৎসবে বড় ভূমিকা নেন কলেজের সভাপতি বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী।-নিজস্ব চিত্র