জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
ঘটনাটি রঘুনাথপুর শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের। ওই ওয়ার্ডের এক বধূ অনেককে ঠকিয়েছেন বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ওই বধূ প্রথমে ওয়ার্ডের কয়েকজন গরিব মহিলাকে টাকার প্রলোভন দেখায়। তাঁদের জানানো হয়, সে ব্যাঙ্ক থেকে মহিলাদের মোটা টাকা লোন করিয়ে দেবে। লোন শোধ সেই করবে। বরং তথ্য দেওয়ার জন্য সে তাঁদের কিছু টাকা দেবে। এভাবে ভুল বুঝিয়ে তাঁদের কাছ থেকে আধার, ভোটার কার্ড, ফোন নম্বর নেওয়া হয়। কিছু ফর্মে সই করানো হয়। তারপর তাঁদের সকলের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট করে দেওয়া হয়। অ্যাকাউন্টগুলি অভিযুক্ত বধূ নিজের কাছে রাখে। পরবর্তী সময়ে ওয়ার্ডের মহিলাদের নিয়ে গিয়ে লোনের টাকা তোলা করায়। তারপর প্রত্যেক মহিলার হাতে দু’ থেকে তিন হাজার টাকা দিয়ে বাকিটা অভিযুক্ত বধূ নিজের কাছে রাখে। এভাবে কয়েক মাস কেটে যায়। কিন্তু, ব্যাঙ্কের কোনও আধিকারিক লোন পরিশোধের জন্য মহিলাদের কিছু বলেননি। ফলে মহিলাদের আরও বিশ্বাস বেড়ে যায়। তাতে অন্য মহিলাদের মধ্যে লোন করানোর হিড়িক পড়ে যায়। সম্প্রতি অভিযুক্ত বধূ লোনের মোটা অঙ্কের টাকা পেয়ে বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। এদিন তার বাড়িতে গিয়েও দেখা যায়, অভিযুক্তের বাড়ি তালাবন্ধ রয়েছে।
বিক্ষোভে শামিল মহিলাদের মধ্যে মাধুরী সর্পবৈদ্য, চন্দনা বাউরি, বন্দনা বাদ্যকর বলেন, ওই মহিলা আমাদের জানিয়েছিল লোন করিয়ে দেবে। পরিবর্তে আমাদের কিছু টাকা দেওয়া হবে। লোনের জন্য এক টাকাও আমাদের শোধ করতে হবে না। আমরা মহিলার কথায় বিশ্বাস করে বিভিন্ন তথ্যের ফটোকপি দিয়েছিলাম। টাকা তুলে মহিলাকেই দিয়েছিলাম। বছর কেটে গেলেও আমাদের কাছে কেউ টাকা চাইতে আসেনি। তাই আমাদের কোনও সন্দেহ হয়নি। তাছাড়া অভিযুক্ত আমাদের ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিল। তাই বিশ্বাসও হয়েছিল। লোনের আধিকারিকরা তার বাড়িতে এসে আমাদের ফর্মে সই করে টাকা দিতেন। এখন ওই মহিলা বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। লোনের টাকা মেটানোর জন্য ব্যাঙ্কের লোকজন আমাদের বাড়িতে আসছে। আমাদের চাপ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের কারও কারও নামে এক থেকে দু’লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন করা হয়েছে। আমরা বিপাকে পড়েছি। আমরা পুলিস প্রশাসন এবং ওয়ার্ডের কাউন্সিলারকে জানিয়েছি।
ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলার দীনেশ শুক্লা বলেন, অভিযুক্ত মহিলা ওয়ার্ডের প্রায় ২১০ জন মহিলার নামে লোন করে টাকা তুলেছে। কয়েক কোটি টাকা নিয়ে সে উধাও হয়ে গিয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে তদন্তের দাবি জানিয়েছি। পুলিস জানিয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।