জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
ডোমকল মহাকুমার রানিনগর, জলঙ্গি, সাগরপাড়া, ডোমকলের মতো এলাকাগুলিতে আগ্নেয়াস্ত্রের আস্ফালন লেগেই থাকে। ভোট এলেই তা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। মূলত দেশি কাট্টাগুলিকেই এদিকের লোক বেশি ব্যবহার করে। মাত্র কয়েক হাজার খসালেই কেনা যায় এই আগ্নেয়াস্ত্র। তবে এই ধরনের পিস্তলগুলির রেঞ্জ খুব কম। এমনকী এই ধরনের পিস্তলে পরপর গুলি চালালে তা ফেটে যাওয়ার শঙ্কাও থাকে। আবার প্রতিবার কার্তুজ লোড করার পর ট্রিগার চালাতে হয়। যা অতিরিক্ত হ্যাপা। বদলে এখন চাহিদা বাড়ছে সেমি অটোমেটিক বা আধা স্বয়ংক্রিয় পিস্তলের। কী এই সেমি অটোমেটিক গান? সূত্রের খবর, আধা-স্বয়ংক্রিয় পিস্তল হচ্ছে একটি সেল্ফ লোডেড পিস্তল। যা প্রতিবার ট্রিগারে চাপের ফলে এক রাউন্ড গুলি ছোটে। ফলে একবার ম্যাগাজিনে কার্তুজ লোড করে নিলেই ব্যস। নতুন করে কার্তুজ ঢোকানোর প্রয়োজন পড়ে না। ট্রিগার টিপলেই ছোটে গুলি। রেঞ্জও বেশি। এছাড়াও, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই পিস্তল ছোট সাইজের। খুব সহজেই তা পকেটে কিংবা লুঙ্গির মধ্যে লুকিয়ে রাখা যায়। অথচ আধুনিক পিস্তলের মতোই ক্ষমতাশালী। সাধারণ সময়ে খোলা বাজারে এক একটি আধা স্বয়ংক্রিয় পিস্তলের দাম পঞ্চাশ হাজার টাকার কাছে ঘোরাফেরা করে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে ডোমকল মহকুমার বিভিন্ন থানা এলাকায় উদ্ধার হয়েছে অন্তত দশটি আগ্নেয়াস্ত্র। দিন কয়েক আগেও সাগরপাড়ায় সেমি অটোমেটিক পিস্তল সহ মালদার এক কারবারিকে পাকড়াও করেছিল পুলিস। সূত্রের খবর, গত কয়েকমাসে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলির মধ্যে একাধিক সেমি অটোমেটিক পিস্তলও রয়েছে। সূত্রের খবর, সেমি অটোমেটিক পিস্তল সহ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে মুঙ্গের যোগ। জানা গিয়েছে, বেশিরভাগ সময়েই ওই অস্ত্রগুলি বিহার থেকে ফারাক্কা হয়ে এলাকায় ঢুকেছিল। নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, হতে পারে পাচারের আধিপত্য ফলানোর জন্যই এই ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র আমদানি
করে থাকতে পারে দুষ্কৃতীরা। তবে এখনও স্পষ্ট নয়, কী কারণে এত আগ্নেয়াস্ত্র ঢুকছে। তদন্তের মাধ্যমে
ওই উত্তর খোঁজার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। -নিজস্ব চিত্র