সন্তানের স্বাস্থ্যহানির কারণে মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। পরীক্ষায় মনোমতো ফললাভ ও নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ। ... বিশদ
ধৃত সুকৃতি কলকাতার নানা সংস্থার প্রোমোশনের কাজে যুক্ত ছিল। বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি সহ সাতটি ভাষায় কথা বলতে দক্ষ। নিমেষেই ব্যবসায়ী থেকে প্রভাবশালীদের মন জয় করতে পারদর্শী সুকৃতিই সাইবার প্রতারকদের কাছে কৃতি ম্যাডাম। যার সঙ্গে যোগ রয়েছে চীন সহ বিভিন্ন দেশের সাইবার চাঁইদের। ডিজিটাল অ্যারেস্টের নামে দেশজুড়ে সাইবার প্রতারণা চলছে। জানা গিয়েছে, ধৃত কৃতিকেই পূর্ব ভারতজুড়ে এই সাইবার চক্র অপারেট করার দায়িত্ব দিয়েছিল আন্তর্জাতিক সাইবার প্রতারকরা। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সে কাজ করছিল। অবশেষে তাকে জালে তুলল আসানসোল সাইবার থানার পুলিস। কোটি টাকার প্রতারণার মামলায় পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতায় বিলাসবহুল দোতলা বাড়ি তার। রয়েছে দামি গাড়িও। ভাইয়ের সঙ্গে বাড়িতে থাকে সে। পুলিস হরিদেবপুরের বাড়ি থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে পুলিস জানিয়েছে, ১৮জানুয়ারি আসানসোল দক্ষিণ থানার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক চঞ্চলকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় লিখিত অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ, প্রতারকরা ১০-১৬ জানুয়ারি সাতদিন তাঁকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করে রেখে দফায় দফায় এক কোটি তিন লক্ষ টাকা লুট করেছে। প্রথমে তাঁর কাছে কুরিয়ার সার্ভিসের নাম করে ফোন এসেছিল। বলা হয়েছিল তাঁর আধার নম্বর ব্যবহার করে কিছু অবৈধ জিনিসপত্র বিদেশ থেকে আনা হয়েছে। তারপরই দিল্লি সাইবার থানার পুলিসের নাম করে ভিডিও কল করে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
পুলিস তদন্তে নেমে জানতে পারে, টাকা গিয়েছে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে। সেই সূত্র ধরে পুলিস কলকাতার হোটেল থেকে প্রথমে বেদ আনন্দ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। আর একটি অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছিল। জগদ্দল থানা এলাকা থেকে ভিআই সঞ্জয়কেও গ্রেপ্তার করে পুলিস। তাদের একজনের অ্যাকাউন্টে ১২কোটি ও আর একজনের অ্যাকাউন্টে ৩ কোটি টাকা রয়েছে বলে পুলিস জানায়। সমস্ত টাকাই হাতানো হয়েছে। এরপরই কৃতি ম্যাডামের সন্ধান পায় পুলিস। সে বিদেশি সাইবার চাঁইদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখে। তাকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি কলকাতা থেকে আরও তিনজনকে জালে তোলা হয়। এরপর পুলিস দিল্লিতে অভিযানে যায়। সেখান থেকে আরও তিন বড় সাইবার প্রতারককে ধরা হয়। পুলিসের দাবি, এই চক্রের ৪০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আগেই বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। আরও সাতটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হল। ডিসি অরবিন্দ আনন্দ বলেন, আসানসোল সাইবার থানা, গোয়েন্দা বিভাগের এটি খুব বড় সাফল্য। বিদেশি চাঁইদেরও খোঁজ চলছে।