সন্তানের স্বাস্থ্যহানির কারণে মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। পরীক্ষায় মনোমতো ফললাভ ও নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ। ... বিশদ
রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলার এক কর্তা বলেন, জন্মের সঙ্গে সঙ্গে বিসিজি ভ্যাকসিন দেওয়া হলেও আজীবন সেই টিকা কার্যকর থাকে না। তাই ফি বছর এই রোগে আক্রান্ত নতুন নতুন রোগী পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে এই স্বাস্থ্যজেলায় যক্ষ্মা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৭০০। তাই এই টিকাকরণ শুরু হল। এই স্বাস্থ্যজেলায় মোট জনসংখ্যা ১৬ লক্ষ ৫০ হাজারের মতো। তার মধ্যে ছ’টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে ৩০ শতাংশ মানুষকে এই টিকা দেওয়া হবে। যাঁদের ৬০ বছরের উপরে বয়স, ডায়াবেটিস রয়েছে, ধূমপান করেন, পাঁচ বছরের মধ্যে টিবি রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, যাঁদের বাড়িতে তিনবছরের মধ্যে টিবি রোগী ছিল এবং ১৮ বছরের নীচে যাদের রোগা পাতলা চেহারা তাদের এই টিকা দেওয়া হবে। এই ধরনের মানুষকে চিহ্নিত করতে আশা ও স্বাস্থ্যকর্মী ঘুরে ঘুরে সার্ভের কাজ করেছেন। টিকা নেওয়ার পর ওই ব্যক্তি যেমন টিবিতে আক্রান্ত হবেন না, তেমনই সংক্রমণও কমবে। কোভিডের মতোই এই টিকা নেওয়ার পর সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে।
এদিন রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলার আটটি ব্লক, নলহাটি ও রামপুরহাট পুবসভা মিলিয়ে ১৩টি পয়েন্ট থেকে এই টিকাকরণ হয়। এদিন ময়ূরেশ্বর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা নেন এই স্বাস্থ্যজেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শোভন দে, ময়ূরেশ্বর বিধায়ক অভিজিৎ রায়।
সিএমওএইচ বলেন, প্রথম দিনেই ৫০০-র বেশি মানুষ বিসিজি টিকা নিয়েছে। মার্চের মধ্যে দু’লক্ষ সাত হাজার মানুষকে টিকাকরণের টার্গেট নেওয়া হয়েছে।