সন্তানের স্বাস্থ্যহানির কারণে মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। পরীক্ষায় মনোমতো ফললাভ ও নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ। ... বিশদ
শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলা পুলিস সুপার(অপারেশন) মকসুদ হাসান বলেন, ধৃতরা আন্তঃজেলা গোরু পাচার চক্রের সদস্য। দক্ষিণ ২৪পরগনা জেলা থেকে চক্রটি চালানো হচ্ছে। তাদের সদস্যরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় গোরু চুরি করছে। ধৃতদের জেরা করে চক্রের মূল পান্ডাকে ধরা হবে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আন্তঃজেলা গোরু পাচার চক্রের যে পাঁচজন সদস্য ধরা পড়েছে, তাদের মধ্যে তিনজনের বয়স মাত্র ১৮বছর। চক্রের মূল পান্ডা অল্প বয়েসি ছেলেদের অর্থের বিনিময়ে নিযুক্ত করে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে গোরু চুরি করে বেড়াচ্ছে। স্থানীয় কিছু এজেন্টের মাধ্যমে এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে গোয়ালঘর ফাঁকা করে দিচ্ছে। চোরাই গোরু গাড়িতে করে নিয়ে গিয়ে দক্ষিণ ২৪পরগনায় কসাইখানায় বিক্রি করা হচ্ছে। গত ১৯ জানুয়ারি জয়পুরের মাগুরায় দুই ব্যক্তির গোয়ালঘর থেকে মোট ছ’টি গোরু চুরি যায়। একইদিনে কোতুলপুর থানা এলাকাতেও গোরু চুরির ঘটনা ঘটে। তাঁদের মধ্যে এক ব্যক্তির সিসি ক্যামেরার ফুটেজে গোয়ালঘর থেকে গোরু খুলে কিছুটা দূরে রাখা গাড়িতে তুলতে দেখা যায়।
অতিরিক্ত পুলিস সুপার(অপারেশন) মকসুদ হাসানের নির্দেশে বিষ্ণুপুরের এসডিপিও সুপ্রকাশ দাসের নেতৃত্বে জয়পুর ও কোতুলপুরের ওসিদের নিয়ে একটি সিট গঠন করে তদন্ত শুরু হয়। তদন্ত চলাকালীন শুক্রবার রাতে তালডাংরা এলাকা থেকে চুরি করে বাঁকাদহ-জয়রামবাটি রোড ধরে একটি গোরুবোঝাই পিকআপ ভ্যান আসার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি নাকা চেকিং বসানো হয়। গোরুবোঝাই ভ্যানটি আটক করা হয়। গাড়িতে থাকা পাঁচ দুষ্কৃতীকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ অন্যান্য অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়। তাদের কাছে থাকা ১০হাজার ১৮০টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।