সন্তানের স্বাস্থ্যহানির কারণে মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। পরীক্ষায় মনোমতো ফললাভ ও নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ। ... বিশদ
ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, নবদ্বীপের বিভিন্ন এলাকার মাটি কারবারিরা নদীর চর থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটছে। এমনকী সেই বালি ও মাটি চড়া দামে বিক্রি করছে ওই সব মাটি কারবারিরা। প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত চলছে এই রমরমা কারবার। অসাধু কারবারিরা কাটা মাটি ও বালি নিয়ে এসে মজুত করছে নবদ্বীপের প্রাচীন মায়াপুরের জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন ঘাট সহ বিভিন্ন ঘাটে। সেখান থেকে তা ট্রাক্টর বোঝাই করে নবদ্বীপের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে । একই ভাবে নদীর পূর্ব পাড়ে নিদয়ায় এই অবৈধ কারবার চলছে। অভিযোগ, বালি ও মাটি বোঝাই ট্রাক্টর নিয়ে যাওয়ার ফলে দিনের পর দিন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ওই সব এলাকার রাস্তার। তবে এসব নিয়ে ভয়ে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না। এছাড়া নদীয়া বা পাশের জেলা পূর্ব বর্ধমানের নদীর চর ও পাড় থেকে বালি ও মাটি কেটে এখানে এনে মজুত করা হচ্ছে। সেই মাটি ও বালি প্রতি গাড়ি ন’শো থেকে হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। শনিবার সকালে নবদ্বীপ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের রেভিনিউ ইনসপেক্টর সোমদীপ চক্রবর্তী বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ আসছিল। অবৈধভাবে নিদয়ার নদীর চর থেকে নৌকার মাধ্যমে বালি ও মাটি কেটে পাচার করা হচ্ছে। এটা নিয়ে জেলা প্রশাসনও উদ্বিগ্ন ছিল। আমরা যৌথভাবে নবদ্বীপ থানার পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালাই। কারা এই কারবারে যুক্ত তাদের খোঁজ চলছে। প্রায় ১০০০ হাজার সিএফটি বালি ও মাটি বাজেয়াপ্ত করেছি। এদিন ভোর তিনটে নাগাদ গৌরাঙ্গ সেতু সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে দু’টি মাটি বোঝাই ট্রাক্টর ধরে তাদের এক লক্ষ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এইভাবে বালি ও মাটি কাটার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্টের পাশাপাশি নিকটবর্তী গৌরাঙ্গ সেতুর পিলারের নীচে বালি সরে গিয়ে সেতুর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নবদ্বীপ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক নবীনকুমার গৌতম বলেন, নিয়ম না মেনে মাটি ও বালি কাটা হচ্ছে। কোনওভাবেই এই বেআইনি কাজ করতে দেওয়া যাবে না। যারা এই ধরনের বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে সরকারি নিয়ম অনুসারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। জরিমানার পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। -নিজস্ব চিত্র