মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ
জেলাশাসক পোন্নমবলম এস বলেন, আমি রিপোর্ট তলব করেছি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে একটি প্রশাসনিক দলও এলাকা পরিদর্শন করেছে।
বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থাগুলি অনুমোদন না দেওয়ায় শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন জলপ্রকল্প থমকে গিয়েছিল। তার মধ্যে অন্যতম দেন্দুয়া জল প্রকল্প। মাইথন জলাধার থেকে জল এনে পরিস্রুত করা হবে কল্যাণেশ্বরীতে। সেখান থেকে মূল পাইপ যাওয়ার কথা দেন্দুয়া ওভারহেড ট্যাঙ্কে। সেই কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের পাইপলাইন। মাটির চার মিটার গভীর দিয়ে তেলের সেই লাইন গিয়েছে। সেই পাইপলাইন টপকে জল নিয়ে যাওয়ার অনুমতি মিলছিল না। শেষে জেলাশাসকের হস্তক্ষেপে সিদ্ধান্ত হয় তাঁদের পাইপলাইন থেকে আরও দু’মিটার গভীরে জলের পাইপ লাইন নিয়ে যাওয়া যাবে। ডামালিয়া এলাকায় সেই কাজই করা হচ্ছিল। প্রায় ২০ ফুট গভীর গর্ত করে বিশাল বিশাল পাইপ বসানোর জন্য প্রচুর মাটি কাটতে হয়েছিল। সেখানে হিউম পাইপ বসানোর কাজও হয়েছিল। তার ভিতরই জল পরিবহণ করার পাইপ ঢোকানোর কাজ করছিল শ্রমিকরা। তখনই উপরে জমা হয়ে থাকা বিপুল মাটি ধসে গিয়ে মাটি চাপা পড়ে যান চারজন শ্রমিক। একজন শ্রমিক কিছুটা বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন। বাকিরা সেই সুযোগ পায়নি।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই পুরো এলাকায় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে জেসিবি মেশিন এনে উদ্ধারের চেষ্টা করা হলেও তাতে হিতে বিপরীত হতে দেখে কোদাল, শাবল নিয়ে মাটি খুঁড়েই ওই শ্রমিকদের বের করেন বাকি শ্রমিকরা। তাঁদের পুলিসের সহযোগিতায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের আধিকারিকরা।
ঠিক কী কারণে মাটি ধসে গেল তা এখনও নিশ্চিত নয় প্রশাসন। অনেকের মতে, এলাকায় গড়ে উঠছে নতুন ডামালিয়া সাইডিং। তার জেরে এলাকায় কম্পন হচ্ছে। খুব সম্ভবত তা থেকেই মাটি ধসে থাকতে পারে। প্রশ্ন উঠছে, যে জায়গায় মাটি ধসার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে কেন মাটি অন্যত্র সরিয়ে শ্রমিকদের নীচে নামানো হল না। পুরো বিষয়টি জানার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস।
ডিসি সন্দীপ কাররা বলেন, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। মৃতের পরিবার থেকে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ পেলে আমরা সেই বিষয়েও তদন্ত করব। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি দুর্ঘটনা বলেই সামনে আসছে।