সন্তানের স্বাস্থ্যহানির জন্য মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। ক্রমোন্নতি ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ও দায়িত্ব বৃদ্ধি। বিদ্যায় ... বিশদ
গত বুধবার চাষিরা প্যাকেট প্রতি ৫০০ টাকা হিসেবে আলু বিক্রি করেছেন। পরদিন সেই দাম ৪৩০ টাকায় নেমে এসেছিল। শুক্রবার প্যাকেট প্রতি দাম আরও ৩০ টাকা কমে। শনি ও রবিবার চাষিরা ৩৮০ টাকা প্যাকেটে দাম পেয়েছেন। সোমবার আলুর দাম আরও কমার ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ। এই সময়ে খুচরো বাজারে আলুর দাম ২০ টাকা কেজি থেকে ১৫ টাকায় নেমে এসেছে। প্রতিদিন আলুর দামের পতন হওয়ায় চাষিরা তড়িঘড়ি আলু তুলতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।
সাহাড়ো গ্রাম পঞ্চায়েতের কুরিচা গ্রামের আলু চাষি গৌতম ঘোষ বলেন, প্রতি বিঘা আলু চাষে খরচা হয়েছে ২৮ হাজার টাকা। রবিবার এক বিঘা জমির আলু বিক্রি করে ৩০ হাজার ৫০০ টাকা পেয়েছি। এরপর চাষিদের ক্ষতিতে বিক্রি করতে হবে। বড়ঞা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের যুগসরা গ্রামের আলু চাষি সুবিমল পাল বলেন, রবিবার ১৬০ ব্যাগ আলু তুলে মাত্র ১১০ ব্যাগ আলু বিক্রি করতে পেরেছি। বাকি আলু পড়ে রয়েছে। জানিনা আজ বিক্রি করতে পারব কিনা। ব্যবসায়ীরা হাত তুলে দিয়েছেন।
আলু ব্যবসায়ীদের দাবি, ভিন রাজ্যের বর্ডার বন্ধ থাকায় বাংলার বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে না। আমদানি অপেক্ষা খরিদ্দার অনেক কম। ডাকবাংলা আলু ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক আশিষ ঘোষ বলেন, প্রতিদিন ২৭-২৮ হাজার প্যাকেট আলু আমদানি হচ্ছে। রাজ্য সরকার চাষিদের দিকে না তাকালে চাষিদের লোকসানেই আলু বিক্রি করতে হবে।
আলুর দাম কমায় চাষিদের উদ্বেগ বাড়লেও মধ্যবিত্তদের হেঁশেলে আলুর ব্যবহার বেড়েছে। সোমবার বহরমপুরের বিভিন্ন বাজারে ১৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হয়েছে। একসঙ্গে পাঁচ কেজি নিলে দাম পড়েছে ৭০ টাকা। বহরমপুর কুমার হস্টেল সংলগ্ন সব্জি বাজারে সব্জি কিনতে এসেছিলেন অনামিকা সাহা। অনামিকাদেবী বলেন, শীতে সব্জির দামের সঙ্গে আলুর দাম কমায় বাজারের ব্যাগ কম খরচায় ভরছে। সরকার উদ্যোগ নেওয়ায় আলু সস্তায় বিকোচ্ছে। -নিজস্ব চিত্র