সন্তানের স্বাস্থ্যহানির জন্য মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। ক্রমোন্নতি ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ও দায়িত্ব বৃদ্ধি। বিদ্যায় ... বিশদ
ঝাড়খণ্ড ঘেঁষা মুরারই স্টেশন। মুরারইয়ের উপর দিয়ে বর্ধমান-সাহেবগঞ্জ লুপ লাইন চলে গিয়েছে। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম এই রুট দিয়ে প্রচুর প্যাসেঞ্জার ট্রেন ও মালগাড়ি যাতায়াত করে। রেলগেট সংলগ্ন রাস্তায় প্রতিদিনই কয়েক হাজার মানুষকে যানজটের যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। কখনও আবার লাইন পেরিয়ে যাওয়ার সময় যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে লরি দাঁড়িয়ে পড়ে। তখন ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। একদিকে রাস্তা একেবারেই সংকীর্ণ। তার উপরে ফুটপাত চলে গিয়েছে ব্যবসায়ীদের দখলে। দীর্ঘক্ষণ রেলগেট বন্ধ থাকায় রাস্তায় সারি দিয়ে সাইকেল, ভ্যান ও মোটরবাইক সহ বহু যানবাহন আটকে পড়ে। বিকল্প রাস্তা না থাকায় যানজট তীব্র আকার ধারণ করে।
এরই মধ্যে রেল এই গেট চিরতরে বন্ধ করতে উদ্যোগী হয়। মুরারইবাসীরা এর প্রতিবাদ করেন। বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিধায়ক রেলের কাছে দাবি জানান। অবশেষে, রেল ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে মুরারই স্টেশনের কাছে আন্ডারপাস নির্মাণের সম্মতি দেয়। সেইমতো বছর দু’য়েক আগে কাজ শুরু হয়।
এরই মধ্যে গত বছরের জুলাই মাসে স্থানীয় এক বাসিন্দা তাঁর জায়গা আন্ডারপাস নির্মাণে বরাত পাওয়া ঠিকাদার দখল করে কাজকর্ম করছে বলে রামপুরহাট আদালতে মামলা করেন। তার জেরে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ঠিকাদারের পক্ষেই আদালতের রায় যায়। সেই সঙ্গে মিথ্যা মামলা করায় আদালত ওই ব্যক্তিকে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করে। পরে কাজ শুরু হলেও তা ধীর গতিতে চলেছে বলে অভিযোগ। যদিও বর্তমানে সেই কাজ শেষ পর্যায়ে।
জানা গিয়েছে, ১৭.৫ ফুট করে আপ ও ডাউনের আন্ডারপাস তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে ফেন্সিং ও গার্ডওয়াল দেওয়ার কাজ চলছে। বিধায়ক বলেন, চলতি মাসেই আন্ডারপাস চালু হয়ে যাবে। এর ফলে মুরারই বাজারের যানজট অনেকটাই কমে আসবে। সেই সঙ্গে ঝুঁকি নিয়ে লাইন পেরিয়ে যাতায়াতের প্রবণতাও কমে যাবে। এদিকে বিধায়ক এই আন্ডারপাস থেকে বোলপুর রাজগ্রাম রোড পর্যন্ত ৬০০মিটারের রাস্তা নির্মাণের জন্য পিডব্লুডির কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। তাহলে রাস্তাটি বোলপুর-রাজগ্রাম রাজ্য সড়কের সঙ্গে যুক্ত হতো। যদিও পিডব্লুডি সার্ভে করে টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে তা করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। ফলে রেলগেট থেকে ভাদীশ্বর মোড় পর্যন্ত যানজট সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদিও মুরারই সিনেমা হল থেকে ভাদীশ্বর হয়ে পলশা মোড় পর্যন্ত বাইপাস রাস্তা নির্মাণের প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। বাম আমলে ওই রাস্তা নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। বিধায়ক বলেন, বাইপাস রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন সহ অন্যান্য গাড়ি চলাচল করতে পারবে। ওই গাড়িগুলিকে মুরারই বাজারের ভিতর দিয়ে যেতে হবে না। অবশেষে দীর্ঘদিনের যানজট সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চলায় এলাকায় খুশির হাওয়া বইছে।