সন্তানের স্বাস্থ্যহানির জন্য মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। ক্রমোন্নতি ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ও দায়িত্ব বৃদ্ধি। বিদ্যায় ... বিশদ
ঝাড়গ্ৰাম স্টেডিয়ামের পার্শ্ববর্তী রাস্তার দু’পাশে চোখজুড়ানো শালবিথী। সামনের কয়েকদিন এই এলাকা কোলাহলমুখর হয়ে উঠবে। জেলার নানা প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা তাঁদের পসরা নিয়ে আসা শুরু করে দিয়েছেন। উৎসবের আয়োজনে তিনটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। ঘোড়াধরা পার্কের ভিতর মূল মঞ্চটি অসিত পাল ও দিলীপ দাসের স্মরণে রাখা হয়েছে। ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামের ভিতর মঞ্চের নামকরণ করা হয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও রতন টাটার নামে। তৃতীয় মঞ্চটির নামকরণ করা হয়েছে কুনার হেমব্রম ও মন্মথো মাহাতর নামে। পঞ্চাশ বছর আগে ঝাড়গ্রাম শহরের কিছু যুবকের হাত ধরে ঝাড়গ্রাম মেলা ও যুব উৎসবের সূচনা হয়। ঝাড়গ্রাম জেলা ঘোষণা হওয়ার পর ‘জেলা’ শব্দটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রতিবারের মতো মেলা ও যুব উৎসব ঘিরে এবারও উৎসাহ উদ্দীপনা তুঙ্গে। সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে উৎসব অনুষ্ঠানের আয়োজনের তোড়জোড় এবার বেশি। জেলার লোকশিল্পীরা ধামসা মাদল সহকারে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করবেন। মহিলা ঢাকিরা বোল তুলবেন ঢাকে। সুসজ্জিত ৫০টি টোটো একই সঙ্গে পথ পরিক্রমা করবে। উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে শহরের বাসিন্দারা শোভাযাত্রায় পা মেলাবেন। উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় ভলিবল, ককবাডি, খো-খো, তিরন্দাজি, দৌড়, লৌহ বল নিক্ষেপ, বর্ষা নিক্ষেপ, ডিসকাস থ্রো ও যোগা রয়েছে। সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার মধ্যে গান, আবৃত্তি, নৃত্য, অঙ্কন, তবলা ও ক্যুইজ থাকছে। দিদি নম্বর ওয়ানের মতো বিশেষ আকর্ষণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় নানা ধরনের জিনিসপত্র, খাবারের দোকান বসবে। বিনোদনের জন্যেও নানা আয়োজন রয়েছে।
যুব উৎসব কমিটির যুগ্ম সম্পাদক অজিত মাহাত বলেন, আমাদের এই উৎসব এবার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করছে। অন্যবারের তুলনায় এবার ধুমধাম সহকারে উৎসব পালন করা হচ্ছে। আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেলা ও উৎসব চলবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। জেলার সকল বাসিন্দাকে আমরা এই উৎসবে শামিল হওয়ার জন্য আবেদন করছি। মেলা কমিটির অফিস সম্পাদক দেবজিৎ মান্না বলেন, মেলা মানেই মিলন উৎসব। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে এই মেলা হয়ে আসছে। জেলার বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা যুব উৎসবে শামিল হবে। জেলার মানুষ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আনন্দ অনুভব করতে পারবেন। মেলায় ৫০০-র মতো এবার স্টল বসছে। লোকজ শিল্পী থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা তাঁদের তৈরি জিনিস নিয়ে মেলায় বসবেন। উৎসবের কয়েকদিন এই অরণ্য শহর আনন্দমুখর হয়ে উঠবে। - নিজস্ব চিত্র