সন্তানের স্বাস্থ্যহানির জন্য মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। ক্রমোন্নতি ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ও দায়িত্ব বৃদ্ধি। বিদ্যায় ... বিশদ
২৩ জানুয়ারি সকাল ৮টা নাগাদ মেদিনীপুর শহরের কলেজমাঠ এলাকা থেকে দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হবে। গোলকুয়া চক হয়ে জগন্নাথ মন্দির, ধর্মা, কেরানিচটি হয়ে ফের কলেজ মাঠ অবধি দৌড় হবে। এবছর মহিলারাও এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন। মহিলাদের মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীকে বিশেষ পুরস্কার হিসেবে ১০ হাজার, সাতহাজার ও পাঁচহাজার টাকা দেওয়া হবে। মহিলাদের মধ্যে প্রথম স্থানাধিকারীকে উদ্যোক্তারা রেসিং সাইকেলও দেবেন।
ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক সুনীলবরণ সামন্ত ও সুখরঞ্জন মাতব্বর বলেন, খেলাধুলোর পরিবেশ বজায় রাখতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে নবীন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মোবাইল ব্যবহার কমিয়ে মাঠে নেমে খেলাধুলো করার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যন্ত এলাকায় এখনও অনেক ভালো মানের খেলোয়াড় আছে। তাঁরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন।
প্রায় ৬২বছর আগে মেদিনীপুরের সুকুমার প্রতিহার জুনিয়র বেঙ্গল সুইমিং প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে জেলায় ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। পরের বছর তিনি বেঙ্গল ম্যারাথন চ্যাম্পিয়ন হন। ১৯৬৫ সালে সুকুমারবাবু ও তাঁর কয়েকজন ক্রীড়াপ্রেমী বন্ধু পাঁচ মাইল দৌড় প্রতিযোগিতার সূচনা করেন। ১৯৬৭ সাল থেকে সেই দূরত্ব বাড়িয়ে ১০ মাইল করা হয়। সেবছর থেকেই প্রতিযোগিতার জনপ্রিয়তা রাজ্যের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। এই ক্লাবের প্রথম সম্পাদক মুকুল মিত্র একজন ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। তাঁর হাত ধরেই এই দৌড় প্রতিযোগিতা পেশাদারিত্বের সঙ্গে আয়োজন শুরু হয়। সারা দেশ থেকে প্রতিযোগীরা এতে অংশ নিতেন। সেসময় পুরস্কারে এক ভরি সোনার মেডেল দেওয়া হতো। এখন প্রতিযোগীর সংখ্যা কমলেও প্রতিবছর নিয়ম করে প্রতিযোগিতা হচ্ছে। প্রথমদিকে এই প্রতিযোগিতা অন্যদিনে হতো। পরে প্রখ্যাত বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্তর নির্দেশে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর জন্মদিনে প্রতিযোগিতা আয়োজন শুরু হয়। ক্লাবের সভাপতি মদনমোহন মাইতি বলেন, আমাদের ক্লাবের মূলমন্ত্র ঐক্য। ক্লাবের তরফে একসময় বহু সমাজকল্যাণমূলক কাজ হয়েছে। বহু বিশিষ্ট মানুষ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। পুলিস ও প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া এত বড় মাপের প্রতিযোগিতা আয়োজন সম্ভব হতো না। - নিজস্ব চিত্র