সন্তানের স্বাস্থ্যহানির জন্য মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। ক্রমোন্নতি ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ও দায়িত্ব বৃদ্ধি। বিদ্যায় ... বিশদ
দুই পঞ্চায়েতের তরফে বিলের দু’দিকের রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু মাঝের ওই কালভার্টটি তারা তৈরি করেনি। স্থানীয়রাই চাঁদা তুলে সেই কালভার্ট তৈরি ও মেরামত করেন। তাঁদের অভিযোগ, দুই পঞ্চায়েতের সদস্যদের একাধিকবার কালভার্টটি পাকা করার দাবি জানানো হলেও কেউ তাতে কর্ণপাত করেননি।
জলঙ্গির চোঁয়াপাড়া পঞ্চায়েতের প্রধান দিশানী খাতুন বলেন, আমরা জেলা পরিষদে বিষয়টি জানিয়েছি। খুব তাড়াতাড়ি জেলা পরিষদের তরফে ওই কালভার্টের কাজ শুরু হবে।
ওই কালভার্ট দিয়ে সাহেবরামপুর, চোঁয়াপাড়া, কীর্তনীয়াপাড়া, জোড়তলা, জোতছিদাম, জোতপরমানন্দপুর, ইনাতপুর, তিনগাছতলার মানুষ যাতায়াত করেন। সেটি ব্যবহার না করলে অন্তত তিন কিলোমিটার ঘুরপথে যেতে হয়। তাই বিপদ সত্ত্বেও অনেকেই ওই কালভার্ট দিয়ে যাতায়াত করেন। সাদিখাঁরদিয়াড় গার্লস হাইস্কুলের অনের পড়ুয়াও সেখান দিয়ে যাতায়াত করে। নড়বড়ে বাঁশের কালভার্টটি যে কোনও সময় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কালভার্ট থেকে পিছলে পড়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
এলাকার বাসিন্দা মিলন মোল্লা বলেন, ওই কালভার্ট ব্যবহার করলে অন্তত তিন কিমি শর্টকাট হয়। তাই বিপদ সত্ত্বেও সেখান দিয়েই যাতায়াত করি। কিন্তু পঞ্চায়েত কালভার্টটি পাকা করতে উদ্যোগী হয় না।
অপর বাসিন্দা পিয়ারুল শেখ বলেন, আমরা চাঁদা তুলে বাঁশের কালভার্টটি বানিয়েছিলাম। পঞ্চায়েত, প্রশাসন, এলাকার জনপ্রতিনিধিরা ফিরেও তাকান না। এভাবে চলতে থাকলে ফের আমাদের চাঁদা তুলেই ওই কালভার্ট পাকা করতে হবে। সাদিখাঁরদিয়াড় গার্লসের ছাত্রী তাহামিনা খাতুন বলেন, ওই বাঁশের কালভার্ট পেরোতে একটু ভয় লাগে। কিন্তু আমাদের কিছুই করার নেই।