সন্তানের স্বাস্থ্যহানির জন্য মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। ক্রমোন্নতি ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ও দায়িত্ব বৃদ্ধি। বিদ্যায় ... বিশদ
দুর্ঘটনাস্থল অর্থাৎ জগপুর রোডের ওই অংশটির একপাশে রানাঘাট পুরসভা এবং অন্যপাশে আনুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত। ভ্রাতৃ সংঘ নামে একটি ক্লাবের নির্মীয়মাণ তিনতলার ঢালাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। তাতে আহত হন ৬ জন। সোমবার এলাকায় যেতেই ক্লাবগুলির কীর্তি ফাঁস করে দেন স্থানীয় মানুষজন। ক্ষোভ উগরে ব্যবসায়ীরাও। তাঁদের কথায়, ভ্রাতৃ সংঘের পাশাপাশি আরও দু’টি ক্লাব বাজারকে কেন্দ্র করে তোলাবাজি চালায়। কুপন ছাপিয়ে প্রতিদিন পাঁচ টাকা করে আদায় করে শহিদ নিত্যানন্দ নগরের একটি ক্লাব। সেই বিলে স্পষ্ট লেখা, ‘ক্লাব উন্নয়নকল্পে’। বাজারের অন্য অংশে রামকৃষ্ণপল্লির একটি ক্লাব ‘শ্রী শ্রী শিব দুর্গা মন্দির’ নামে বিল ছাপিয়ে মন্দির উন্নয়ন প্রকল্পে অনুদানের নাম করে পাঁচ টাকা করে নিচ্ছে। ভ্রাতৃ সংঘেরও সাদা কাগজের ৫ টাকার কুপন পাওয়া গিয়েছে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে।
বাজারের সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিদিন ক্লাবের লোক এসে ওই কুপন ধরিয়ে টাকা নিয়ে যায়। না দিলে ব্যবসা করা যাবে না বলেও হুমকি শুনতে হয়। যদিও রবিবারের দুর্ঘটনার পর টাকা আদায় করতে সোমবার দেখা মেলেনি তিন ক্লাবের কাউকেই।
রানাঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান কোশলদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কোনও ক্লাব এইভাবে টাকা তুলতে পারে না। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব। পুরসভার তরফে সাফাইয়ের জন্য সার্ভিস চার্জ নেওয়ার কথা থাকলেও আমরা সেই কাজ বিনামূল্যে করি।’ ভ্রাতৃ সংঘের সাধারণ সম্পাদক মৈনাক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের ক্লাবের সামনে যাঁরা আনাজ বিক্রি করেন, তাঁদের থেকেই আমরা টাকা নিতাম।’ কিন্তু অনুমতি ছাড়া তিনতলা কেন? মৈনাকের দাবি, ত্রিতল নির্মাণ হচ্ছিল না। ছাদের চারপাশে গাঁথনি চলছিল। সুতরাং অনুমতির প্রশ্নই আসে না।’ যদিও রবিবারের দুর্ঘটনায় জখম নির্মাণ শ্রমিক জিয়ারুল মণ্ডল বলেন, পিতলের ঢালাইয়ের পর ত্রিতল নির্মাণের কাজ চলছিল। ক’দিনের মধ্যেই ছাদ ঢালাই হওয়ার কথা ছিল। পিলার তোলা হয়েছিল।’ -নিজস্ব চিত্র