সন্তানের স্বাস্থ্যহানির জন্য মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। ক্রমোন্নতি ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ও দায়িত্ব বৃদ্ধি। বিদ্যায় ... বিশদ
নেত্রীর এই বার্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মুর্শিদাবাদ জেলার ২৬টি ব্লকের বেশকিছু ব্লক সভাপতির সঙ্গে স্থানীয় বিধায়কের দ্বন্দ্ব সর্বজনবিদিত। যার ফলে গত পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে কিছু কিছু ব্লকে আশানুরূপ ফল হয়নি। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দলের এই অভ্যন্তরীণ কোন্দল মিটিয়ে ফেলতে বলেছেন নেত্রী। পাশাপশি দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। সরকারি প্রকল্পের উপভোক্তাদের কাছ থেকে যে সমস্ত নেতা টাকা নেবে, তাদের বিরুদ্ধে যেন কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিন সভা মঞ্চ থেকেও সেই বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রয়োজনে সেইসব নেতার নামে পুলিসের কাছে মামলা করতে হবে বলে তিনি সভামঞ্চ থেকে জনগণকে জানিয়ে দেন। পুলিস যদি ব্যবস্থা না নেয় তাহলে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’তে ফোন করে অভিযোগ জানানোর কথা বলেন। এদিন দলীয় বৈঠকেও এই ‘তোলাবাজি’ নিয়ে নেত্রী সতর্ক করেছেন।
জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন, প্রশাসনিক সভার পর আমাদের সকলকে নিয়ে একটি দলীয় বৈঠক করেন নেত্রী। সকলকে একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আমরা নেত্রীর নির্দেশমতো চলব।
বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা বিধায়ক অপূর্ব সরকার বলেন, সবাইকে একসঙ্গে থাকার বার্তা দিয়েছেন দিদি। এদিনের প্রশাসনিক সভা আমাদের সফল হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার জন্য প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ এখানে জমায়েত করেছে। উল্লেখ্য, এদিনের এই আলোচনায় কয়েকজন নেতাকে বাড়তি গুরুত্ব দেন নেত্রী। বিধায়ক জাকির হোসেনের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন তিনি। খলিলুর সাহেবকে নতুন প্রজন্মদের সামনে এনে তাঁদের প্রাধান্য দিয়ে সংগঠনের কাজ করতে বলেন নেত্রী। -নিজস্ব চিত্র