সন্তানের স্বাস্থ্যহানির জন্য মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। ক্রমোন্নতি ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ও দায়িত্ব বৃদ্ধি। বিদ্যায় ... বিশদ
ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষের দুঃখ, দুর্দশা যে তাঁর মনকে নাড়া দেয়, তা এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কথাতেই স্পষ্ট হয়েছে। তিনি বলেন, গঙ্গা ভাঙনে আপনাদের বড় শোচনীয় অবস্থা হয়। ঘরবাড়ি, মন্দির, মসজিদ, রাস্তা সবই গঙ্গায় তলিয়ে যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের আগে একটা প্রকল্প ছিল। সেটা এখন বন্ধ করে দিয়েছে। আগে ভাঙন রোধে কেন্দ্র কাজ করত। কিন্তু, এখন তারা কোনও কাজ করে না। বাড়ি ভেঙে গেলে, রাস্তা নষ্ট হয়ে গেলে আমাদেরই করতে হয়। কিন্তু, তাও ওরা আমাদের টাকা দেয় না।
কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সামশেরগঞ্জে ধুলিয়ান মিউনিসিপ্যালিটি এলাকায় দেড় হাজার হেক্টর জমির আমবাগান, রাস্তাঘাট, মন্দির মসজিদ সব গঙ্গা ভাঙনে ভেঙে গিয়েছে। আমরা বারবার কেন্দ্রীয় সরকারকে লিখেছি। কিন্তু, তারা কানেই তুলছে না। নির্বাচনের সময় ওরা কেবল বৈষম্য তৈরি করতে আসে।
এদিনের প্রশাসনিক সভায় হাজির ছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ, এডিজি(দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার, জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র, মন্ত্রী আখরুজ্জামান, সাংসদ আবু তাহের খান ও খলিলুর রহমান প্রমুখ। সভামঞ্চ থেকে সরকারি প্রকল্প পরিষেবা উদ্বোধনের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গা ভাঙনের জন্য একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। ফরাক্কা ব্লকের কুলিগ্রামে ৬০০ মিটার দৈর্ঘ্যের পাড়ের পুনরায় প্রতিষ্ঠার ও ক্ষয় রোধের প্রকল্পে ৯ কোটি টাকা খরচ করেছে সেচ জলপথ দপ্তর। প্রায় ১৩ কোটি টাকা খরচে ফরাক্কা ব্যারেজের কুলি গ্রাম এবং সামশেরগঞ্জের কামালপুর গ্রামে ৮০০ মিটার দৈর্ঘ্যের ডান ও বাঁ দিকের পাড় তৈরি ও ক্ষয়রোধ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। চাচণ্ড, শিবপুর ধানঘড়া, ধুসুরিপাড়া, কামালপুর গ্রামে প্রায় ২০০০ মিটার নদীপাড়ের সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তারজন্য প্রায় ২৭ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এর আগে যতবারই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মুর্শিদাবাদ সফরে এসেছেন, ততবারই তাঁকে ভাঙন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে শোনা গিয়েছে। রাজ্য সরকার অপ্রাণভাবে সামশেরগঞ্জ ও ধুলিয়ানবাসীর জন্য গঙ্গা ভাঙন ঠেকানোর জন্য যে কাজ করছে, এদিন মুখ্যমন্ত্রী তা ভালোভাবে বুঝিয়ে দেন। এর আগেও তিনি সামশেরগঞ্জে নদীর পাড়ের সভা থেকে ভাঙন রোধের জন্য ১০০কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলেন। সেই টাকায় গঙ্গা তীরবর্তী কিছু কিছু জায়গায় নদীর পাড় বাঁধাইয়ের কাজ হয়েছে। এদিনও ভাঙন রোধের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ৬২ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। ছবি: অসীম ভাস্কর