সন্তানের স্বাস্থ্যহানির জন্য মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। ক্রমোন্নতি ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ও দায়িত্ব বৃদ্ধি। বিদ্যায় ... বিশদ
প্রশাসনের এক আধিকারিক কথায়, ‘নিয়মিত নজরদারি চালানো হয়েছে সিপিসিগুলোতে। বিভিন্ন সময় অভিযান করা হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। দু’ মাসের কম সময়ের মধ্যেই বিপুল পরিমাণ ধান কেনা হয়েছে। বহু চাষি উপকৃত হয়েছেন।’
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নদীয়া জেলার চলতি মরশুমে ৩ লক্ষ ৫ হাজার মেট্রিক টন ধান কিনবে। গত ২৩ নভেম্বর থেকে নদীয়া জেলায় ধান কেনা শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত, দু’ মাসের কম সময়ের মধ্যে ১ লক্ষ ৬০ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হয়ে গিয়েছে। এত অল্প সময়ে নদীয়া জেলার প্রায় ৫৩ হাজার চাষির কাছ থেকে এই ধান কেনা হয়েছে। যেখানে জেলায় নথিভুক্ত চাষিরা সংখ্যা ৮১ হাজার।
প্রসঙ্গত, চাষিদের থেকে সরকারের ধান কেনার অন্যতম উদ্দেশ্য হল ফড়েদের হাত থেকে তাঁদের রক্ষা করা। পাশাপাশি খোলা বাজারে চাপ তৈরি করে ধানের মূল্য পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। যাতে অসাধু ব্যবসায়ীদের ফাঁদে পড়ে চাষিরা ক্ষতির সম্মুখীন না হন। সরকার নির্ধারিত মূল্যে সরাসরি ধান বিক্রি করেই যাতে লাভের মুখ দেখেন তাঁরা। কারণ সরকারের তরফ থেকে চাষিদের কুইন্টাল পিছু ধানের জন্য সবচেয়ে বেশি দাম দেওয়া হয়। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের চাষিরা ধান বিক্রি করে উৎসাহ ভাতা সহ কুইন্টাল প্রতি ২৩২০ টাকা পান। সেখানে সচরাচর খোলা বাজারে ব্যবসায়ীরা চাষিদের থেকে কম-বেশি ২০০০ টাকা কুইন্টালে ধান কেনে। কৃষি বিশেষজ্ঞদের দাবি, সরকারি মূল্য এবং বাজারে মূল্যের অতিরিক্ত বৈষম্যের কারণেই মাঝখান থেকে ফড়েরা সুবিধা নেয়। তার উপর সরকারের তরফ থেকে ধান কেনার গতি কমিয়ে রাখলে, ফড়েরাই চাষিদের থেকে কম দামে ধান কিনে নেয়। তবে বর্তমানে খোলা বাজারে ধানের দাম বেড়ে হয়েছে কুইন্টাল পিছু ২২০০ থেকে ২২২০ টাকা। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এবছর সরকারের তরফে শুরু থেকেই ধান কেনার গতি বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। সেইমতো অতিরিক্ত গোষ্ঠীর মাধ্যমেও ধান কেনা হয়েছে নদীয়া জেলায়। অন্যদিকে সম্প্রতি বাজারে চালের চাহিদাও মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। ভিনদেশেও চালের রপ্তানি করতে হচ্ছে ভারতকে। সপ্তাহখানেক আগেই ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ চাল গিয়েছে বাংলাদেশে। বিপুল চাহিদা থাকার জন্যই চাষিদের থেকে বেশি দামে চাল কিনতে বাধ্য হচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
নদীয়া জেলার রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুমন ঘোষ বলেন, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ধান কেনার জন্য তৎপরতা দেখানো হয়েছিল। চাহিদা থাকার জন্য খোলা বাজারের ব্যবসায়ীরাও দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে। এর ফলে উভয় দিক থেকেই চাষিরা উপকৃত হচ্ছেন।