সন্তানের স্বাস্থ্যহানির জন্য মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। ক্রমোন্নতি ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ও দায়িত্ব বৃদ্ধি। বিদ্যায় ... বিশদ
পূর্ব বর্ধমানের বৈকুণ্ঠপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে রয়েছে বামচাঁদাইপুর গার্লস জুনিয়ার হাইস্কুল। বর্ধমান পুরসভা এলাকা সংলগ্ন এই স্কুলের পথচলা শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে। সর্বশিক্ষা মিশনের আর্থিক সহায়তায় গড়ে ওঠা এই স্কুলের প্রথম পড়ুয়া সংখ্যা ছিল তিনজন। ধীরে ধীরে স্কুলের শ্রীবৃদ্ধি হতে শুরু করেছিল। বছর কয়েকের মাথায় স্কুলের ছাত্রী সংখ্যা ৮০ ছাপিয়ে যায়। কিন্তু তা অবশ্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বছর বছর কমতে থাকে ছাত্রী সংখ্যা। বর্তমানে এই স্কুলের পড়ুয়া সংখ্যা ২৮-এ দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন স্কুলের চার শিক্ষিকা। পড়ুয়া সংখ্যা বাড়াতে তত্পর হয়েছেন সকলেই।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা দেবারতি খাঁ বলেন, করোনা পরবর্তীকাল থেকেই পড়ুয়াদের সংখ্যা ক্রমশ কমতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়া সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে কন্যাশ্রী পড়ুয়াদের নিজস্ব এলাকায় বাড়ি বাড়ি প্রচার চালানোর কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকদের নিয়ে আগামীতে বৈঠকে বসার ভাবনা রয়েছে। তাঁদের মাধ্যমেও গ্রামীণ এলাকায় প্রচার চালানো হবে। তিনি আরও বলেন, এই গার্লস স্কুলকে কো-এড স্কুলে বদল করা হলে পরিস্থিতির যথেষ্টই উন্নতি হবে। বিষয়টি ইতিমধ্যে শিক্ষাবন্ধুকে জানানো হয়েছে।
২০১০ সালে চালু হওয়া স্কুলের ভবিষ্যত্ কী হবে তা অবশ্য তা বলা মুশকিল। তবে স্কুলের পড়ুয়া সংখ্যা বাড়ুক তা চাইছেন শিক্ষাবন্ধু বিজয়কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, আমাকে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে এবিষয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে লিখিতভাবে জানানোর কথা বলা হয়েছে বামচাঁদাইপুর গার্লস জুনিয়ার হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকাকে।