স্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ... বিশদ
জানা গিয়েছে, গত বছরের অক্টোবরে মাসে এক নির্দেশ অনুযায়ী অভিষেক দেকে ৭২ ঘণ্টার অন কল ডিউটি দেওয়া হয়। যা মানা সম্ভব নয়, বলে দাবি করেন ওই চিকিৎসক। তাছাড়া যিনি মেডিক্যাল স্টাফ নন, অর্থাৎ সহকারী সুপার, তাঁকে মেডিক্যাল কর্মীদের নিরীক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সুপারের বিরুদ্ধে। এরপরেই তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালের সুপার বাপ্পাদিত্য ঢালি ও সহকারি সুপার এস এম আজাদের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যদপ্তরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেন চিকিৎসক অভিষেক দে। সেই সঙ্গে আউটডোরের নির্দিষ্ট ঘর ও শয্যা সহ অপারেশন থিয়েটারের সঠিক পরিকাঠামো নেই বলেও স্বাস্থ্যদপ্তর ও সুপারের কাছে অভিযোগ জানান ওই চিকিৎসক। তারপর থেকেই তিনি অনির্দিষ্টকালের ছুটির আবেদন করে হাসপাতালে যাওয়া বন্ধ করে দেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁর ছুটির আবেদন কর্তৃপক্ষ গ্রহণ না করে তাঁকে শোকজ করেছে। অভিষেক দে বলেন, ৩১ ডিসেম্বর শোকজ করেছে। উত্তর দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, হাসপাতালে বেশকিছু সমস্যা নিয়ে আমি স্বাস্থ্যদপ্তরকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু তা নিয়ে এখনও কোনও ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। তিনি আরও বলেন, আমার অভিযোগগুলিই আমার শোকজের উত্তর।
এতে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার গরিব মানুষ। হাসপাতালে অপারেশন শুরু হওয়ায় অনেকই খুশি হয়েছিলেন। এখন হাসপাতালে অপারেশন না হওয়ায় তাঁদের বাইরে থেকে অপারেশন করাতে হচ্ছে। এইরকম একজন বলেন, আমাদের বাইরে থেকে অপারেশন করানোর ক্ষমতা নেই। হাসপাতালের ডাক্তার দেখে তারিখ দিয়েছিলেন। এসে শুনি তিনি আর হাসপাতালে আসেন না। ধারদেনা করে বাইরে থেকে অপারেশন করাই। তিনি বলেন, হাসপাতালের ভিতরের সমস্যার জন্য আমাদের মতো গরিব মানুষ বিপদে পড়ছেন। অবিলম্বে হাসপাতালে একজন সার্জেন ডাক্তার দেওয়া উচিত। সুপার বাপ্পাদিত্য ঢালি বলেন,পরিকাঠামো নিয়ে ওঁর কোনও চিঠি পাইনি। তবে ব্যবস্থা নিতে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে আমরা জানিয়েছি।