স্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ... বিশদ
তৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, হেরোইন উদ্ধার হয়েছে কুলটি থানার নিয়ামতপুর লছিপুর নিষিদ্ধপল্লির অদূরে। একইভাবে কালিপাহাড়িতে যে গাঁজা উদ্ধার হয়েছে, তাও নিয়ামতপুর যাচ্ছিল বলে পুলিস সূত্রে দাবি। নিয়ামতপুরকে কেন্দ্র করে আগেও মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণ হয়েছে। ফের সেই জায়গাই এপিসেন্টার হয়ে উঠছে কি না, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিস লছিপুরের অদূরে একটি পেট্রল পাম্পের কাছে ওঁত পেতে বসেছিল। খবর অনুযায়ী, দুই কারবারি বাইকে করে আসানসোল থেকে লছিপুর অভিমুখে যাচ্ছিল। সেই সময়েই তাদের বাইক আটকায় পুলিস। তল্লাশি করে দু’জনের কাছ থেকে প্রায় আড়াইশো গ্রাম মাদক উদ্ধার হয়। তিনটি প্যাকেটে করে দু’টি ব্যাগের মধ্যে তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পুলিস দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়ার ফরিকুল শেখের বাড়ি মুর্শিদাবাদ। অন্যজন কুলটি থানার আলডি গ্রামের বাসিন্দা হর্ষকুমার বার্নওয়াল। বুধবার তাদের আসানসোল আদালতে তোলা হয়।
অন্যদিকে মঙ্গলবার রাতেই আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিসও মাদক বিরোধী অভিযানে নামে। কালিপাহাড়ি মোড়ে বাস থেকে দুই বাসিন্দা নিয়ামতপুর অভিমুখে যাওয়ার অটো ধরতে গিয়ে পুলিসের জালে ধরা পড়ে। ধৃত গীতা কর্মকার এবং আনন্দ লেটের বাড়ি রামপুরহাটে। তাদের কাছ থেকে ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। পুলিস এই দুই অভিযুক্তকেও এদিন আসানসোল আদালতে তোলে। স্থানীয় কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের মাদক নেশা নিয়ে জেরবার শিক্ষামহল। স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও ব্যাপক এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। পড়াশোনা ছেড়ে অনেকেই মাদকের টাকা জোগাড় করতে চুরির রাস্তায় হাঁটছে। বিভিন্ন এলাকায় তাই চুরির ঘটনাও বেড়ে গিয়েছে। মাদক কারবার থেকেই নানা অপরাধীর হাতেখড়ি হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে তৎপর হয়েছে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেট। আসানসোল জেলা হাসপাতালের প্রাক্তন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরী বলেন, পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। মাদক পুরো ছাত্র ও যুব সমাজকে গ্রাস করছে। অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন। মাদক সরবরাহের চেন না কাটলে উদ্বেগ থামবে না।