অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রটি বেশ অনুকূল। ব্যবসা, পেশা প্রভৃতি সব কর্মেই কমবেশি উন্নতি ও প্রসারের যোগ। ধর্ম ... বিশদ
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বৃদ্ধ নিরঞ্জনচন্দ্র মোদক বলেন, আমি ত্রিপুরায় সূর্যমণিনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলাম। এখানে ২৫ বছর ধরে আছি। আমি এখান থেকেই এটিএমের মাধ্যমে পেনশনের টাকা তুলতাম। আমার স্ত্রী প্রায় দেড় বছর আগে মারা গিয়েছেন। আমার দুই ছেলে, এক মেয়ে। আমি নবদ্বীপে ছোট ছেলে সুদামের পরিবারের সঙ্গে থাকতাম। আমি যখন চাকরি করতাম, তখন থেকে এই বাড়ি করার জন্য আমার স্ত্রীকে টাকা দিতাম। পরে আমার ছোট ছেলে ওর নিজের নামে বাড়ি লিখে নিয়েছে। আমার ছেলে সুদাম এবং ওর স্ত্রী দু’জনে মিলে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। ১৩ দিন ধরে স্থানীয় একটি আশ্রমে রয়েছি। আমি যখন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম, তখন আমাকে দেখাশোনা করার জন্য ছেলে সুদামকে ত্রিপুরা থেকে এখানে এনেছিলাম। ওখানেও আমার বাড়ি আছে। আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে আমার এটিএম কার্ডটা দিয়ে ওই টাকা তুলত। ওরা যখন আমাকে বের করে দিয়েছে তখন আমি চাইছি, এই যে চার বছর ধরে প্রতিমাসে আমার পেনশনের ৩২ হাজার ৩৭৫ টাকা ওরা তুলে নিয়েছে, ওই টাকাটা ফেরত দিক। আমি আমার টাকা সহ অন্যান্য যে জিনিসগুলো আটকে রেখেছে সেগুলো ফেরত চাই।
বৃদ্ধের মেয়ে ত্রিপুরার উদয়পুরের বাসিন্দা সুদেবী মোদক দাস বলেন, ওরা বাবার সবকিছু কেড়ে নিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। এমনকী চার বছর আগে মা থাকতেই বাবা-মা দু’জনকে অত্যাচার করে বাড়িটা দানপত্র দলিল করে নিয়েছে। এরপর বাবাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আমাকে ফোন করেছিলেন বাবা। আমি ত্রিপুরা থেকে এখানে চলে আসি। এরপর গত ১৮ ডিসেম্বর ভাই এবং ভাইয়ের স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করি। বাবা অসুস্থ হয়ে যখন ছেলের কাছে টাকা চেয়েছে, তখনই ওরা বাবাকে বের করে দিয়েছে। বাবা অবসর নেওয়ার পর ২৫ বছর ধরে এখানে আছেন। আমরা বাড়িঘর চাই না। বাবাকে আমি ত্রিপুরায় নিয়ে যাব।
তবে অভিযুক্ত ছেলে সুদাম বলেন, আমি বাবাকে বের করে দিইনি। সম্পত্তির লোভে আমার বড় ভাই এবং বোন চালাকি করে বাবাকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে এসে, বাবাকে দিয়ে আমাদের নামে কেস করিয়েছে। এতদিন ওদের সঙ্গে বাবার কোনও যোগাযোগ ছিল না।