নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: মাঠ থেকে আমন উঠতেই সহায়ক মূল্যে ধান কেনার গতি বাড়ল বাঁকুড়ায়। ডিসেম্বরের মধ্যে বাঁকুড়া জেলা খাদ্যদপ্তর গতবারের তুলনায় এবারে প্রায় ৫৬ হাজার মেট্রিক টন বেশি ধান কিনেছে। ২০২৩ সালে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাঁকুড়ায় ৩৪ হাজার ২৭২ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ হয়েছিল। এবার ওই সময়সীমার মধ্যে ৯০ হাজার ১১৯ মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। এখনও বছর শেষ হতে সপ্তাহখানেক বাকি। তারমধ্যে ব্যবধান আরও বাড়বে বলে মনে করছে খাদ্যদপ্তর তথা বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন। জেলায় ক্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি ও ধারাবাহিক নজরদারির কারণে ধান কেনার হার অনেকটা বেড়েছে বলে প্রশাসনের আধিকারিকরা দাবি করেছেন। তবে খোলা বাজারের তুলনায় সহায়কমূল্য বেশি থাকার কারণেই এবার সরকারকে ধান দেওয়ার ব্যাপারে চাষিরা উৎসাহ দেখাচ্ছেন বলেও ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত। বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) তথা ধানক্রয় দেখভালের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, গতবারের তুলনায় এবার জেলায় ধানক্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা বেড়েছে। স্থায়ীর পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রেও সরকারি সহায়ক মূল্যে বহু চাষি ধান বিক্রি করছেন। আমরা শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে বিষয়টি ‘মনিটরিং’ করছি। সবমিলিয়ে ধান কেনার কাজে গতি এসেছে।
জেলা খাদ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারের খরিফ মরশুমে বাঁকুড়ায় মোট ২ লক্ষ ৯২ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে ২ লক্ষ ১২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন ধান খাদ্যদপ্তর সরাসরি চাষিদের থেকে কিনবে। বাকি ধান রাজ্যের অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য নিগম, বেনফেড, নাফেডের মতো সংস্থাগুলির মাধ্যমে কেনা হবে। জেলায় এবার ৩৪টি স্থায়ী ও সাতটি ভ্রাম্যমাণ ধানক্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যা গতবারের থেকে ন’টি বেশি বলে জেলা খাদ্য নিয়ামক শেখ আলিমুদ্দিন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সমবায়, স্বনির্ভর গোষ্ঠী মিলিয়ে মোট ১৮০টি প্রতিষ্ঠান ধান কিনছে। জেলার ৪৩টি রাইস মিলে ওই ধান পৌঁছে যাচ্ছে। ধান কেনার জন্য গোষ্ঠীর সদস্য ও সমবায়ের লোকজনকে খাদ্যদপ্তরের তরফে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ধানের গুণগত মান যাচাইয়ের প্রশিক্ষণও আলাদাভাবে ক্রয়ের সঙ্গে যুক্ত সকল কর্মীকে দেওয়া হয়েছে। • বাঁকুড়া কৃষক বাজারে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনা চলছে। -নিজস্ব চিত্র