অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রটি বেশ অনুকূল। ব্যবসা, পেশা প্রভৃতি সব কর্মেই কমবেশি উন্নতি ও প্রসারের যোগ। ধর্ম ... বিশদ
নবদ্বীপ ও মায়াপুর এবং হুলোর ঘাটেও পুলিসি নিরাপত্তার পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক রেখেছে ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে যদি কোনও যন্ত্রচালিত নৌকা নদীতে অকেজো হয়ে পড়ে, সেজন্য নবদ্বীপ ও মায়াপুর ঘাটে উদ্ধারকারী নৌকা রাখা হয়েছে। প্রতিদিন ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল করলেও বড়দিন ও ইংরেজি নতুন বছরে অতিরিক্ত ভাড়ার বিনিময়ে সারারাত ফেরি পরিষেবা মিলবে।
নবদ্বীপ থেকে মায়াপুরের মধ্যে প্রতিদিন তিনটি এবং হুলোরঘাট থেকে স্বরূপগঞ্জের মধ্যে দু’টি নৌকা যাতায়াত করে। এছাড়া নবদ্বীপ ও মায়াপুরের মধ্যে দু’টি লঞ্চ যাতায়াত করে। বড়দিন ও বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে অতিরিক্ত দু’টি যন্ত্রচালিত নৌকা ও তিনটি লঞ্চ চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনকী ভিড় এড়াতে হুলোরঘাট থেকে স্বরূপগঞ্জ রেল বাজার ঘাট পারাপারের জন্য অতিরিক্ত একটি বড় নৌকা চলাচল করবে।
নবদ্বীপ জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির সম্পাদক সুশান্ত হালদার বলেন, তিনটি ফেরিঘাট দিয়ে প্রতিদিন নবদ্বীপ-মায়াপুর এবং হুলোরঘাট থেকে স্বরূপগঞ্জ রেল বাজার ঘাট, নবদ্বীপ-স্বরূপগঞ্জ মোট আটটি যন্ত্রচালিত নৌকা চলাচল করে। এছাড়া নবদ্বীপ ও মায়াপুরের মধ্যে দু’টি লঞ্চও চলাচল করে। এই ছুটির মরশুমে প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পারাপার করছেন। সেজন্য অতিরিক্ত তিনটি লঞ্চ অর্থাৎ মোট পাঁচটি লঞ্চ এবং ১১টি নৌকো চলাচল করবে। ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত ফেরি চলাচল করে। তবে লঞ্চ পরিষেবা চলে সকাল ছ’টা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত। রাত ১১টার পর যদি যাত্রীদের পারাপারের প্রয়োজন হয়, তখন এক থেকে সাত জন যাত্রী নিয়ে অতিরিক্ত ভাড়ায় নৌকা পারাপার করবে। পুলিস প্রশাসন জানিয়েছেন, ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন এবং ১ জানুয়ারি উপলক্ষ্যে অতিরিক্ত পুলিস অফিসার, মহিলা পুলিসকর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার ফেরিঘাট থেকে রাস্তা সর্বত্রই মোতায়েন থাকবে। এছাড়া বিশেষ দিনগুলোতে জলপথে অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরাও ফেরিঘাটগুলিতে প্রস্তুত থাকবেন।