অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রটি বেশ অনুকূল। ব্যবসা, পেশা প্রভৃতি সব কর্মেই কমবেশি উন্নতি ও প্রসারের যোগ। ধর্ম ... বিশদ
বর্ষায় অজয় ছাপিয়ে কৃষিজমি প্লাবিত করে। আর বর্ষা চলে গেলেই পাড় লাগোয়া মাটি ধসে যায়। নদীর পাড়ে পলিমাটির নীচেই রয়েছে বালি। তাই মাফিয়ারা এখন নদীর পাড় লাগোয়া ভাঙা অংশজুড়ে কোদাল দিয়ে মাটি কেটে বালি লুট করছে তারা। কাটোয়া-১ ব্লকের চুড়পুনি মৌজায় রাজুয়া ঘাটের কাছেই কৃষিজমি কেটে বড় বড় গর্ত করে ফেলেছে তারা। উপরের মাটি সরিয়ে বালি তোলা হচ্ছে। কোথাও কোথাও আবার মাটি কেটে প্রায় সুড়ঙ্গ করে ফেলা হয়েছে।স্থানীয় চাষিদের অভিযোগ, রাত নামলেই দুষ্কৃতীরা এসব শুরু করছে। তারপর টোটোয় বালিভর্তি করে নিয়ে পালাচ্ছে। আবার কখনও অজয়ের পাড়ে ট্রাক্টর দাঁড় করিয়ে বালি লুট করছে। কিছু বলতে গেলেই হুমকি জুটছে। এভাবে পাড় কেটে নিলে বর্ষায় অজয় ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।ছোট ছোট দল তৈরি করে অপারেশন চালাচ্ছে বালি মাফিয়ারা। তা বাজারে চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে। চুড়পুনির চাষি দানু মিস্ত্রি বলেন, এর জেরে আমাদের চাষের জমি বাঁচানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। মস্তানরা রাতের অন্ধকারে টোটো করে বালি চুরি করে পালাচ্ছে। কিছু বলতে গেলেই হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অপর চাষি হিরণ্ময় সাহা বলেন, আমরা সামান্য জমিতে আলু, সব্জি চাষ করি। একে তো অজয়ের ভাঙনে জমির কিছুটা অংশ তলিয়ে গিয়েছে। তার উপর বালি কারবারিদের অত্যাচারে বাকিটুকুও আর থাকবে না। প্রশাসনের বিষয়টি দেখা দরকার। নয়তো অজয়ে বান এলে আশপাশের যতীনপুর, চুড়পুনি সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
ভূমি ও ভূমিসংস্কার দপ্তর জানিয়েছে, অজয়ের পাড়ে উপরের কিছুটা মাটি কেটে নিলে ভিতরে বালি পাওয়া যায়। ওই বালির রঙ লালচে। সেই বালি ঘরের মেঝে ভরাট করতে কাজে লাগে। ভালো বালি চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে।