অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রটি বেশ অনুকূল। ব্যবসা, পেশা প্রভৃতি সব কর্মেই কমবেশি উন্নতি ও প্রসারের যোগ। ধর্ম ... বিশদ
বনদপ্তর সূত্রে খবর, দৈনিক হাতির পাতে পড়বে কুমড়ো, আলু, ফুল ও বাঁধাকপি সহ অন্যান্য শাক-সব্জি ও দানাশস্য। পেট ভরার পাশাপাশি যাতে হাতির শরীরে পুষ্টি-ভিটামিনের চাহিদা মেটে, সেই দিকেও বনদপ্তরের আধিকারিকরা খেয়াল রাখছেন। বাঁকুড়া উত্তরের ডিএফও দেবাশিস মহিমাপ্রসাদ প্রধান বলেন, ফসল ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে হাতিগুলির জন্য পাবয়ার জঙ্গলেই খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বড়জোড়ার তৃণমূল বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, চাষিদের ফসল বাঁচাতে বাজার থেকে খাবার কিনে হাতির পালকে খাওয়ানোর জন্য আমি বনদপ্তরের আধিকারিকদের অনুরোধ করেছি।
বড়জোড়ার খাঁড়ারি অঞ্চলের চাষি স্বদেশ ঘোষ, গোদারডিহির পরেশ কর্মকার বলেন, হাতির দল প্রতিবছরই কার্যত আমাদের পাকা ধানে মই দেয়। পুজোর পর থেকে এলাকায় হাতি না থাকায় এবার আমরা নির্বিঘ্নে আমন ধান ঘরে তুলতে পেরেছি। তবে রবি চাষের মরশুমে একসঙ্গে ৬২টি হাতি বড়জোড়া রেঞ্জে ঢুকে পড়ায় ফের ফসল নষ্টের আশঙ্কায় চাষিরা প্রমাদ গুনতে শুরু করেছেন। জঙ্গলের মধ্যেই বনদপ্তর হাতির খাবারের ব্যবস্থা করলে সেগুলি আর ফসলের খেতে হানা দেবে না।
বনদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, হাতির খাবারের ব্যবস্থা করার সময় পুষ্টির দিকটি খেয়াল রাখা হয়। অভয়ারণ্য বা বড় জঙ্গলে থাকার সময় হাতি নিজের দেহের চাহিদা অনুযায়ী খাবার খুঁজে নেয়। কিন্তু, কোনও নির্দিষ্ট জায়গায় তা তারা সবসময় পায় না। সেই কারণেই আলু-কুমড়োর পাশাপাশি সবুজ শাক-সব্জি ও দানাশস্য হাতির খাবারের মেন্যুতে রাখা হয়।
বর্তমানে পাবয়ার জঙ্গলে হাতিগুলি বেড়ার ঘেরাটোপে রয়েছে। ফলে ওই জঙ্গলের খাবার ফুড়িয়ে যাওয়ার পর আমাদের খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে খাবারের সন্ধানে হাতির দল বেরিয়ে পড়বে। ৬২টি হাতি কোনও এলাকার উপর দিয়ে গেলে খেত-খামারে ফসল, শস্যের গোলা সবকিছু তছনছ করে দিতে পারে। সেই কারণে আমরা হাতির দলের উপর শ্যোনদৃষ্টি রেখেছি।
তিনি আরও বলেন, হাতিপিছু গড়ে দৈনিক ৮০-১২০ কিলোগ্রাম খাবারের প্রয়োজন হয়। পাবয়ার জঙ্গলে থাকা দলে আটটি হস্তিশাবক রয়েছে। ছোট বা মাঝারি হাতি তুলনায় কম খাবার খায়। কিন্তু পূর্ণবয়স্ক দাঁতাল প্রতিদিন এক থেকে দেড় কুইন্টাল পর্যন্ত খাবার খেয়ে নিতে পারে।