অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রটি বেশ অনুকূল। ব্যবসা, পেশা প্রভৃতি সব কর্মেই কমবেশি উন্নতি ও প্রসারের যোগ। ধর্ম ... বিশদ
সুবর্ণরেখা নদীর তীরে দাঁতন ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বেলমুলাতে ২০২০ সালে গড়ে উঠেছে এই ইকোপার্ক। সুবর্ণরেখা নদীর পূর্ব পার্শ্বে নদীর চরে এই ইকোপার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরে নদীর একটি পাশে পলি জমে তৈরি হয়েছে বিশাল চর। আর সেই চরে গ্রামবাসীদের উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে ইকোপার্ক। এরপর গ্রাম পঞ্চায়েত ও দাঁতন ১ পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে এই ইকো পার্ক গড়তে দফায় দফায় বরাদ্দ করা হয়েছে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা। শুধু ইকোপার্ক নয়, তার পাশাপাশি এই চরে প্রায় ১০০ একর জায়গা জুড়ে করা হয়েছে বিশাল ফলের বাগান। রয়েছে ছোট থেকে বড় প্রত্যেকের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা।
নদীর এক পাড়ে দাঁতন ও অপর পাশে রয়েছে ওড়িশা ও ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম। দাঁতন সহ আশেপাশের মানুষজনের পাশাপাশি নদী পেরিয়ে পড়শি রাজ্য ও ঝাড়গ্রাম জেলা থেকে বহু মানুষ আসেন এই এলাকায় পিকনিক করতে।
বেলমুলা গ্রামের বাসিন্দা রতন বেরা, প্রদ্যুৎ মন্ডল বলেন, প্রতিবছর নদীর একটা দিক ভেঙে যায় অপরদিক গড়তে থাকে। আর আমাদের এই গ্রামে নদীর পাড়ে তৈরি হওয়া প্রায় ১০০ একর জায়গাতে ফলের বাগানসহ একটি ইকো পার্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই পার্কে শীতের সময় সুবর্ণরেখা নদীর নৈসর্গিক দৃশ্য দেখার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ আনন্দ করতে পারবেন। শিশুদের জন্য পার্কে নানা ব্যবস্থা রয়েছে। পিকনিক স্পট হিসাবে আমাদের এই ইকোপার্ক নানাভাবে সাজানো হয়েছে। দাঁতন ১ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ উত্তম বেরা জানান বিগত কয়েকটি আর্থিক বর্ষে এই পার্ক সহ ফলের বাগান তৈরির জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল। আগামীদিনে গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় এই ইকো পার্কটিকে আরও দৃষ্টিনন্দন করে তোলা হবে।
পার্কে বেড়াতে আসা দীপক পাল, মনীষা দেবেরা বলেন বন্ধুদের কাছ থেকে খবর পেয়ে এখানে বেড়াতে এসেছিলাম। পানীয় জল থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু খুব ভালো ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি সুবর্ণরেখা নদীতে জল কম থাকায় তার চরে পিকনিক করতে অনেক ভালো লাগছে। আশা করছি এবারে বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষে এখানে আরও বেশি ভিড় হবে।