অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রটি বেশ অনুকূল। ব্যবসা, পেশা প্রভৃতি সব কর্মেই কমবেশি উন্নতি ও প্রসারের যোগ। ধর্ম ... বিশদ
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মেহেবুব মণ্ডল বলেন, বোরো চাষের জন্য ১০দিন জল দেওয়ার পর আটদিন বন্ধ থাকবে। জলের যাতে অপচয় না হয় তা চাষিদের দেখতে হবে। আল বেঁধে জল জমিয়ে রাখতে হবে। কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি, বাঁকুড়া এবং হাওড়া জেলার জন্য ২লক্ষ ৯হাজার ৩৪০একর ফিট জল দেওয়া হবে। এই জলে ৬৬হাজার ৬৫০ হাজার একর জমিতে বোরো চাষ হতে পারে। পূর্ব বর্ধমানে ৩৭হাজার একর জমিতে জল দেওয়া হবে। বোরো চাষে তিনবার জল দেওয়া হবে। দুর্গাপুর ব্রাঞ্চ ক্যানেল, পানাগড় ব্রাঞ্চ ক্যানেল, নিউ গাঙ্গুর, বেহুলা খাল, ইডেন খাল, ব্রাঞ্চ-১ ও ২ খাল, কানা নদী, কানা দামোদর, নেভিগেশন ক্যানেল এবং ওল্ড গাঙ্গুর খালে রবি চাষের জন্য জল দেওয়া হবে। চাষিদের দাবি, আরও কয়েকটি ক্যানেল জল দেওয়া হলে চাষের আরও বেশি সুবিধা হতো।
কৃষিদপ্তর জানিয়েছে, এলবিএমসি সিরিজ দুর্গাপুর থেকে পুরষা পর্যন্ত জল যাবে। এই এলাকার ২২৭, ২২৮ পুরো খালে জল যাবে। এমসি-১ থেকে ৮০ চেন পর্যন্ত জল যাবে। এমসি-২ থেকে ৩২ চেন, এমসি-৩ থেকে ৩০০ মারো, ডিস্ট্রিবিউটরি-এ থেকে ১০০ চেন, এল-২ থেকে ১২০ চেন, এল-৩ থেকে ৫১ চেন এবং ওয়াটার কোর্স থেকে ২০৭ পুরো খাল পর্যন্ত জল দেওয়া হবে। পিবিসিও ০.০০ চেন থেকে মালদাপাড়া পর্যন্ত জল যাবে। পুরষা থেকে ফিডার ক্যানেল বন্ধ থাকবে। এছাড়া ডিএমসি, ডিবিসি, ৬ এমসি সিরিজ বন্ধ থাকবে। পুরষা থেকে পাল্লায় বিভিন্ন খালে জল যাবে। লিঙ্ক ক্যানেল, ইন্টারসেপটেড-৪ বিএমসি, ইন্টারসেপটেড-৩ এমসি, মাইনর-৪বি থেকে ৬০ চেন পর্যন্ত জল পৌঁছবে। এল-৫ অফ এল বিএমসি টেল পর্যন্ত সেচের জল যাবে। মাইনর এল ৫ থেকে ৮০ চেন পর্যন্তও জল পৌঁছে যাবে।
কৃষিদপ্তর আরও জানিয়েছে, ইডেন খাল ২৮০৫ চেনপাল্লা থেকে ৩১৬৭ চেন হারালা পর্যন্ত জল দেওয়া হবে। ব্রঞ্চ-১, ব্রাঞ্চ-২ বন্ধ থাকবে। নিউ গাঙ্গুর পাল্লা থেকে ৩৬০ চেন ছিনুই পর্যন্ত জল দেওয়া হবে। কানা নদী ০০৩ চেন হারালা থেকে ৬০.০০চেন পর্যন্ত জল পৌঁছে যাবে। কানা দামোদর থেকে হারালা এবং মণিরামবাটি পর্যন্ত জল যাবে। ওল্ড গাঙ্গুর খালেও ডিভিসি জল দেবে। নেভিগেশন ক্যানেলও জল পাবে।