জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
এদিন ব্যাঙ্কের লোন ডিপার্টমেন্টের অফিসাররা ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে তুফানগঞ্জ শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাজি রোডে আসেন। এরপর ওই বাড়িতে থাকা লোকজনের সঙ্গে কিছু কথা বলে বাড়ির গেট সিল করে দেন। বর্তমানে বাদলবাবু সক্রিয়ভাবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও মাঝেমধ্যেই তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যায়।
ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে ২০ লক্ষ টাকা ঋণ নেন বাদল কর্মকার। সেই টাকা শোধ করতে না পারায় যা সুদে আসলে ২৪ লক্ষ ২৫ হাজার ৭৯৪ টাকায় গিয়ে পৌঁছয়। অভিযোগ, বারে বারে নোটিস পাঠানো হলেও ওই ব্যক্তি ঋণ পরিশোধ করছিলেন না। যদিও এ ব্যাপারে বাদল কর্মকার বলেন, আমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি এ নিয়ে শুনানি রয়েছে। তার আগেই ব্যাঙ্ক অনৈতিকভাবে আমার বাড়ি সিল করে দিয়ে গেল। আইনিভাবে তা মোকাবিলা করার জন্য আমিও প্রস্তুতি নিচ্ছি।
বাদল কর্মকারের স্ত্রী পপি কর্মকার বলেন, দীর্ঘদিন থেকে স্বামী এই বাড়িতে থাকেন না। এ ব্যাপারে আমার বিশেষ কিছু জানা ছিল না। ব্যাঙ্ক থেকে বাড়ি সিল করে দেওয়া হল। আমাদের বের করে দেওয়া হয়েছে। পরিবার নিয়ে কোথায় যাব জানা নেই।
যদিও ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের তরফে এদিন ঘটনাস্থলে আসা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, একাধিকবার ঋণখেলাপিকে লোনের টাকা পরিশোধ করতে বলা হলেও তাতে তিনি কর্ণপাত করেননি। তাঁকে বেশ কয়েকবার আইনি নোটিসও পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেভাবে সহযোগিতা মেলেনি। তাই বাড়ি সিলের বিষয়টি পুরোটাই আইন মেনে করা হয়েছে।
আর এ নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। বিজেপি কোচবিহার জেলা সহ সভাপতি উৎপল দাস বলেন, আসলে পাপ বাপকেও ছাড়ে না। আজকের ঘটনাই তার প্রমাণ। যদিও তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি শিবপদ পাল বলেন, ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় ব্যাঙ্ক তার সম্পত্তি ক্রোক করেছে। এরসঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। আইন আইনের পথে চলুক।
(গোলমাল এড়াতে এলাকায় পুলিস। - নিজস্ব চিত্র।)