জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের মতো শিলিগুড়িতেও শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক কার্যত ‘সাপে নেউলের’। মাঝেমধ্যেই মহকুমার সার্বিক উন্নয়ন সহ বিভিন্ন ইস্যুতে শাসকদলের বিরুদ্ধে গলা ফাটান পদ্ম শিবিরের নেতারা। পাল্টা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কামান দাগেন জোড়াফুল শিবিরের নেতারা। এমন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এদিন মহকুমা পরিষদে অর্থ স্থায়ী সমিতির মিটিং শেষ হওয়ার পর নিজের চেম্বারে যান বিরোধী দলনেতা। তাঁর মাথার উপর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারি বাজপেয়ির ছবি।
আচমকা সেই চেম্বারে প্রবেশ করেন সভাধিপতি। গ্রামীণ এলাকার উন্নয়ন নিয়ে দু’জনে বেশকিছুক্ষণ কথা বলেন। দু’জনেই হাসিঠাট্টায় মশগুল ছিলেন। এরপর নিজের ঘরে না গিয়ে বিরোধী দলনেতার পাশে বসেই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে গ্রামীণ এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন সভাধিপতি। তিনি বলেন, আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। তাঁর দেখানো পথেই চলছি। তাই রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে উন্নয়নের স্বার্থে বিরোধী দলনেতার চেম্বারে এসেছি।
চেম্বার ছাড়ার সময় বিরোধী দলনেতার সঙ্গে করমর্দন করেন সভাধিপতি। তিনি গ্রামীণ এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কিছু প্রস্তাব থাকলে তা জমা দেওয়ার পরামর্শ দেন বিরোধী দলনেতাকে। সভাধিপতির এমন ভূমিকার প্রশংসা করেছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, আমার চেম্বারে সভাধিপতি আসবেন, ভাবতেও পারিনি। তাঁর এমন সৌজন্য সাক্ষাৎ ভালো লাগছে। এদিন অর্থ স্থায়ী সমিতির মিটিংয়ে যে ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাও প্রশংসনীয়। তবে মহকুমা পরিষদের টেন্ডার কমিটিতে আমাকে রাখা হয়নি। গ্রামীণ এলাকার উন্নয়ন সংক্রান্ত তথ্য চেয়েও মিলছে না। এ বিষয়গুলিতে সভাধিপতি তৎপর হলে আরও ভালো লাগবে। তা না হলে উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রশ্ন নিয়ে তথ্য জানার অধিকারে চিঠি দেব পরিষদে।
এদিনের অর্থ স্থায়ী সমিতির বৈঠকে আগামী ২০২৫-’২৬ অর্থবর্ষের খসড়া উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, এবার স্বচ্ছভারত মিশন প্রকল্প থেকে মিলবে ৩ কোটি ২৪ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা। পাশাপাশি নিজস্ব তহবিল থেকে ২ কোটি ১১ লক্ষ টাকা। সংশ্লিষ্ট অর্থে ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় ২৪টি প্রকল্প বাস্তবায়িত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
- নিজস্ব চিত্র।