জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
এই পদক্ষেপের পাশাপাশি স্বাস্থ্যদপ্তর কোন কোন চিকিৎসক হাসপাতাল ছেড়ে প্রাইভেট চেম্বার ও নার্সিংহোমে ব্যস্ত থাকছেন সেই তালিকা তৈরি করছে। সম্প্রতি দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসককে দু’দফায় তলব করেছে স্বাস্থ্যভবন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে এরকম কতজন চিকিৎসক আছেন সেব্যাপার স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে খোঁজ শুরু হয়েছে।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ ইন্দ্রজিৎ সাহা বলেন, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে এই অভিযোগে কোনও চিকিৎসক চিহ্নিত হয়েছেন কি না জানা নেই। তবে স্বাস্থ্যদপ্তরের নজরদারিতে এখানকার চিকিৎসকরা রয়েছেন। বেশ কয়েকজন চিকিৎসক সম্পর্কে জানতে খোঁজ নিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর।
কলেজসূত্রে জানা গিয়েছে,সার্জারি, নেফ্রলজি ও অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসকদের একাংশের দিকেই নজর রয়েছে স্বাস্থ্যভবনের। আরজিকর কাণ্ডের সময় এই ডাক্তাররাই হাসপাতাল ফেলে রেখে চিকিৎসা পরিষেবা চূড়ান্তভাবে ব্যাহত করে দিনের পরদিন আন্দোলন করেছিলেন। এই ফাঁকিবাজি ধরা পড়ায় জানুয়ারি মাসে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের প্রায় ৩২ জন চিকিৎসকের বেতন আটকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ খবর জানতেই সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা ছুটির দরখাস্ত দিয়ে বেতন কাটার হাত থেকে রেহাই পান।
কলেজের অ্যাকাউন্টস বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩০ জানুয়ারি বেতন হয়। সেসময় প্রায় ৩২ জন চিকিৎসকের বেতন আটকে যায় ফাঁকিবাজির জন্য। কিন্তু তাঁরা ছুটির আবেদন দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি সামলে নেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত তাঁদের বেতন হয়ে গিয়েছে। প্রিন্সিপাল বলেন, ছুটির আবেদন দেওয়ায় প্রায় সকলের বেতন হয়েছে। সামান্য কয়েকজনের বেতন হয়নি।
এদিকে, চিকিৎসকদের হাসপাতালে ডিউটি ফেলে নার্সিংহোমে প্র্যাক্টিস বন্ধ করতে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সংশ্লিষ্ট এলাকার নার্সিংহোমগুলির উপর নজরদারি রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। হাসপাতালে ডিউটি চলাকালীন কোনও চিকিৎসক নার্সিংহোমে অস্ত্রোপচার করছেন কিনা তা দেখতে বলা হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে। নার্সিংহোমগুলির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখলেই এই দিকটি ধরা পড়বে।
দার্জিলিংয়ের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ তুলসী প্রামাণিক বলেন, এ ধরনের নির্দেশ এখনও আমাদের কাছে আসেনি। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের প্রিন্সিপাল বলেন, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের ক্লেম থেকে এধরনের চিকিৎসকদের ফাঁকিবাজি ধরার কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। এতেই দেখা যাচ্ছে নন প্র্যাক্টিসিং অপশন দিয়েও অনেকে প্রাইভেট প্র্যাক্টিস করছেন।