জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
মাধ্যমিক পরীক্ষার জেলা কনভেনার বিকাশচন্দ্র দাস জানিয়েছেন, মঙ্গলবার গোয়ালপোখরের নন্দঝাড় আদিবাসী তফসিলি উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরাজি পরীক্ষা চলাকালীন মোবাইল ফোন সহ ৪ পরীক্ষার্থী হাতেনাতে ধরা পড়ে। তারা এ বছরের মতো মাধ্যমিকের আর কোনও পরীক্ষায় বসতে পারবে না। তাদের পরীক্ষা বাতিল।
পরীক্ষার জেলা কনভেনার জানিয়েছেন, পরীক্ষার্থীদের থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া ৪ টি মোবাইল ফোনও সিলপ্যাক করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র বাইরে পাঠানো হয়েছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে পরীক্ষা করে। উত্তরপত্র কারা পাঠালো তাও দেখা হবে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, ধরা পড়া এই চার পরীক্ষার্থীর সঙ্গে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনও চক্র জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখা উচিত।
এদিকে এদিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে জেলা প্রশাসন, শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক ও পরীক্ষা ব্যবস্থায় যুক্ত আধিকারিক ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠকে বসে। বৈঠক থেকে জেলা প্রশাসনের তরফে স্পষ্ট বার্তা, এখনও অঙ্ক, বিজ্ঞান সহ বেশ কিছু পরীক্ষা বাকি। সেসময় অবৈধভাবে পরীক্ষা দেওয়ার প্রবণতা আরও বেশি নজরকাড়ে। তাই জেলার ১০১ টি পরীক্ষাকেন্দ্রকেই যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে। বলা হয়েছে, পরীক্ষাকেন্দ্রের ক্যাম্পাসের চারদিকেও পুলিসকে সতর্ক দৃষ্টি দিতে হবে। যাতে পাঁচিল টপকে কোনও ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট ক্যাম্পাসে কেউ ছুঁড়ে দিতে না পারে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের গাইডলাইন মেনে যাবতীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে পরীক্ষকদের উদ্দেশ্যেও। ঢিলেমি না দিয়ে শিক্ষকরা যাতে সক্রিয়ভাবে পরীক্ষা হলে নজর রাখেন তাও দেখতে হবে। বিডিও ও এসডিও’রাও যাতে পরীক্ষা ব্যবস্থাপনায় খোঁজখবর রাখেন, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।
ইসলামপুরের পুলিস সুপার জবি থমাস বলেন, মাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালনার সময় নিয়ম অনুযায়ী পুলিস পরীক্ষা কেন্দ্রে বাইরের নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে। পরীক্ষাকেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকে। যাতে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে স্কুলের চারপাশে অযাচিত কেউ জমায়েত করতে না পারে।