জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
বুধবার অপহৃত বধূর শ্বশুর বলেন, মঙ্গলবার সকালে নাতি ও বউমাকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলাম। সেসময় একটা গাড়ি নিয়ে সামনে এসে দাঁড়ান তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য রথীন সর্দার। ঢেলপাড়া ও দামোদরটোলা গ্রামে ত্রিমোহিনী রাস্তা থেকে রথীন আমার বউমাকে অপহরণ করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যান। আমরা বাধা দিতে গেলে ওঁর দলবল হেনস্থা করে। মারধর করে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে,মঙ্গলবার সকাল এগারোটা নাগাদ স্বামী ও শ্বশুরের সঙ্গে টোটোয় চেপে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছিলেন ওই গৃহবধূ। সেই সময় অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য একটি গাড়ি নিয়ে এসে তাঁদের টোটো আটকে দেয়। এরপর তিন বছরের সন্তান সহ বছর তিরিশের ওই গৃহবধূকে গাড়িতে জবরদস্তি তুলে নিয়ে যান রথীন। অপহরণে বাধা দিতে গেলে দলবল নিয়ে মহিলার স্বামী ও শ্বশুরকে মারধর করে রথীনের দলবল। বধূর শ্বশুরকে রীতিমতো মারধর করে।
স্থানীয় মোথাবাড়ি থানায় অপহরণের অভিযোগ করার পাশাপাশি মালদহের পুলিস সুপারের অফিসে গিয়ে বিষয়টি জানায় শ্বশুরবাড়ির লোক। এই ঘটনার পরে পুলিসি অভিযানে নেমে গ্রেপ্তার করে পঞ্চানন্দপুর -২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য রথীন সর্দারকে। জন প্রতিনিধির এহেন কর্মকাণ্ডে নিন্দার রব উঠেছে এলাকায়। যদিও অপহরণের অভিযোগ মানতে চায়নি অভিযুক্ত রথীন সর্দার। এদিন আদালতে পেশ করার সময় অভিযুক্ত দাবি করেন, ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর পুরনো সম্পর্ক ছিল। ভুল বোঝাবুঝিতে তাঁকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। বাস্তবে অপহরণের কোনও ঘটনাই ঘটেনি।
কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকের পাল্টা প্রশ্ন, ভুল বোঝাবুঝি হলে কেউ কি পথ আটকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়! বাচ্চা সহ অপহরণ করে? নিজের দোষ ঢাকতে এসব কথা বলছেন অভিযুক্ত। ধৃত তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য তাঁদের অপহরণের সময় নগদ সাত হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। সঙ্গে থাকা একটি মোবাইল ফোনও বধূর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের অভিযোগ।
এদিন অভিযুক্তর পাশাপাশি উদ্ধার করা বধূকেও আদালতে তোলা হয়। এদিকে ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করে তাঁকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে আদালত চত্বরে দাবি করেছেন তিনি। মেয়ের অপহরণ নিয়ে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে সরব মহিলার শ্বশুরের দাবি, রথীন সর্দারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে বাড়ি ভাঙচুর সহ নানা অভিযোগ ওঠে।