সন্তানের স্বাস্থ্যহানির কারণে মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। পরীক্ষায় মনোমতো ফললাভ ও নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ। ... বিশদ
শনিবার ইসলামপুরের কমলাগাঁও সুজালি পঞ্চায়েতের টিকরামগছ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দুয়ারে সরকারের শিবির বসে। এদিন একাধিক প্রকল্পের স্টলে তেমন ভিড় না থাকলেও বিদ্যুৎ ও কৃষকবন্ধুর কাউন্টারে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কমলাগাঁওয়ের বাসিন্দা জবিউল আখতার এদিন বিদ্যুতের বকেয়া বিলে ছাড় পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। তিনি বলেন, বাবার নামে বিদ্যুতের সংযোগ ছিল। ১০ বছর আগে বাবার মৃত্যু হয়েছে। সেই বিল জমা করতে পারিনি। ৫১ হাজার টাকা বিল হয়েছে। এত টাকা একসঙ্গে দেওয়ার মতো সামর্থ্য আমার নেই। তাই ছাড় পাওয়ার আশায় আবেদন করলাম। বকেয়া ২২ হাজার টাকার বিদ্যুতের বিলে ছাড় পেতে আবেদন করেছেন আরেক আবেদনকারী নুর আলমও। তিনি বলেন, বাবার নামে সংযোগ নেওয়া আছে। বাবাই বিল মেটাতেন। ৪ বছর আগে বাবার মৃত্যু হয়েছে। এর পর থেকে আর্থিক সঙ্কটের কারণে বিল দিতে পারিনি। দপ্তর থেকে বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। ২২ হাজার থেকে বিল কম করার জন্য এদিন আবেদন করলাম। শুধু বিদ্যুতের বিলে ছাড় পাওয়ার জন্যই নয়, নতুন মিটারের জন্যও অনেকে আবেদন করেন।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের কাউন্টারের লাইনও ছিল অনেক বড়। এদিন এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদন করতে আসেন আনামুল হক। বলেন, এর আগেও কয়েকবার আবেদন করেছি। কিন্তু আমার নাম এই প্রকল্পে ওঠেনি। ফের আবেদন করলাম। একই বক্তব্য ফাইজুল হকেরও।
জেলা পরিষদের স্থানীয় সদস্য তৃণমূলের মৌসুমি খাতুনের স্বামী জাহিদুল রহমান বলেন, কৃষকবন্ধু প্রকল্প নিয়ে ব্লক কৃষি দপ্তরে কিছু সমস্যা হয়েছিল। কেউ কেউ দু’তিন বার আবেদন করার পরও নাম ওঠেনি। এবার বহু মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে আবেদন জমা করছেন। আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের বলব, কৃষকরা যাতে সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত না হয়।