সন্তানের স্বাস্থ্যহানির কারণে মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। পরীক্ষায় মনোমতো ফললাভ ও নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ। ... বিশদ
ভবানীপুরেরর বাসিন্দা মেহেবুব মির্জা। পরিবারে স্ত্রী ছাড়াও রয়েছে চার ছেলে মেয়ে। দিনমজুরি এবং ভিনরাজ্যে কাজ করে পরিবারের দেখাশোনা করেন তিনি। গত ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে গঙ্গার পাড়ের জমিতে ঘাস কাটতে যান মেহবুব। টিনের নৌকায় চেপে বাবাকে দুপুরের খাবার দিতে বেরিয়ে পড়ে মেহবুবের দুই ছেলে। গঙ্গার পাড় থেকে নৌকা কিছুদূর গিয়েই উল্টে যায়। নদীর পাড়ে স্নানরত কয়েকজন তড়িঘড়ি ছুটে গিয়ে দুই বালককে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। তৎক্ষণাৎ একজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন স্থানীয়রা। তবে আর এক বালকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিস ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। দুদিন ধরে গঙ্গায় ডুবুরি নামিয়ে চলে তল্লাশি। কিন্তু তারপরও কোনও খোঁজ মেলেনি। তিনদিন পরও ছেলের খোঁজ না পাওয়ায় প্রায় আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন বাবা ও মা সহ পরিবারের সদস্যরা। এদিন গোপালপুরের গঙ্গা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভেসে ওঠে বালকের নিথর দেহ। খবর পেয়ে সেখানে আসেন পরিবারের সদস্যরা। পুলিসের সামনে দেহ চিহ্নিত করা হয়। এবং ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। মৃতের কাকা আজাদ মির্জা জানান, ভবানীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত তাঁর ভাইপো। দাদার সঙ্গে বাবাকে খাবার দিতে যাওয়ার সময় নৌকা ডুবে মৃত্যু হয়েছে বালকটির। ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ বাবা-মা। শোকস্তব্ধ এলাকার মানুষ। হাসপাতালে শোকার্ত বাবা। - নিজস্ব চিত্র