সন্তানের স্বাস্থ্যহানির জন্য মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। ক্রমোন্নতি ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ও দায়িত্ব বৃদ্ধি। বিদ্যায় ... বিশদ
মাথাভাঙা মহকুমার গ্রামীণ এলাকার স্কুলগুলির মধ্যে অন্যতম জোড়পাটকি হাইস্কুল। এই স্কুলের কৃতী পড়ুয়ারা বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। এখন প্রায় দু’হাজার ছাত্রছাত্রী পড়ে এই স্কুলে। শিক্ষক শিক্ষিকা ৩৯ জন। বিজ্ঞান ও কলা বিভাগ উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পড়ানো হয়। গ্রামীণ একাধিক স্কুলে যখন বিজ্ঞান বিভাগ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শিক্ষকের অভাবে অথবা পড়ুয়া সঙ্কটে সেখানে এই স্কুলে সাফল্যের সঙ্গে চলছে বিজ্ঞান বিভাগ।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সূর্যনাথ বসুনিয়া বলেন, স্কুলের হীরক জয়ন্তী বর্ষ পালন করছি। নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে বছরটিকে স্মরণীয় করে রাখার চেষ্টা করেছি। এলাকার শিক্ষানুরাগীদের উপস্থিতিতে ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি সমাপ্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সহকারী প্রধান শিক্ষক কানু বর্মন বলেন, হীরক জয়ন্তী বর্ষকে সামনে রেখে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে। সেখানে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি বর্তমান পড়ুয়াদের লেখা স্থান পাবে।
১৯৬৫ সালে জোড়পাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের ধরলা নদীর ধরে শৌলমারি গ্রামে জোড়পাটকি জুনিয়র হাইস্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। যদিও ১৯৮৩ সালে বর্তমান জায়গায় স্কুলটি সরিয়ে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে গোলকগঞ্জ বাজার চৌপথি থেকে কয়েকশো মিটার পূর্ব দিকে স্কুলটি। ১৯৯৬ সালে জুনিয়র হাইস্কুল মাধ্যমিক স্কুলে উন্নীত হয়। ২০০৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত হয় এই স্কুল। শুধু পড়াশোনা নয়, খেলাধুলোতেও জোড়পাটকি হাইস্কুল জেলায় যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে। কাবাডিতে একাধিকবার কোচবিহার জেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এই স্কুলের টিম।
এই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা সবুজায়ন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক কাজেও অগ্রণী ভূমিকা রাখে। সাফল্যের এই ধারাবাহিকতাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংকল্প নিয়েই হীরক জয়ন্তী বর্ষে আরও কিছু পরিকল্পনা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। - নিজস্ব চিত্র।