সন্তানের স্বাস্থ্যহানির জন্য মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। ক্রমোন্নতি ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ও দায়িত্ব বৃদ্ধি। বিদ্যায় ... বিশদ
প্রায় দু’বছর আগে ‘টক টু মেয়র’ কর্মসূচির সূচনা করে পুরসভা। মূলত প্রতি সপ্তাহের শনিবার একঘণ্টা এই কর্মসূচি হয়। এই কর্মসূচিতে মেয়রকে সরাসরি ফোন করে এলাকার সমস্যা নিয়ে অভাব অভিযোগ জানাতে পারেন নাগরিকরা। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রচার করা হয়। প্রতিটি পর্বেই লাইক ও কমেন্টসের হিড়িক পড়ে যায়। সেগুলি শেয়ারও হয়। আগামী শনিবার এই কর্মসূচি শততম পর্ব। তা নিয়ে হোর্ডিংয়ের মাধ্যমে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় প্রচার চালানো হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রচার তুঙ্গে।
পুরসভার এক কর্তা জানান, ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় পুরসভার প্রশাসক বোর্ড ‘টক টু চেয়ারম্যান’ কর্মসূচির সূচনা করে। ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময় পুরসভার নির্বাচিত বোর্ড গঠনের পর চালু হয় ‘টক টু মেয়র’ কর্মসূচি। বিভিন্ন কারণে মাঝে এক-দু’টি সপ্তাহ এই কর্মসূচি স্থগিত ছিল। ইতিমধ্যে তা ৯৯ সপ্তাহ অতিক্রম করেছে। কেউ রাস্তা ও নিকাশির বেহাল দশা, কেউ পানীয় জলের সমস্যা, কেউ বেআইনি নির্মাণ নিয়ে ফোন করেছেন। আবার কেউ কেউ চাকরির দাবিতে, সরকারি সামাজিক প্রকল্পের সহায়তা চেয়ে ফোন করেছেন।
মেয়র বলেন, মানুষের কাছে সহজে পৌঁছনোর অন্যতম হাতিয়ার এই কর্মসূচি। শুধু শিলিগুড়ি শহর নয়, অনুষ্ঠানে মহকুমার গ্রামীণ এলাকা, জলপাইগুড়ি জেলার ডাবগ্রাম, ফুলবাড়ি, পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডি থেকেও ফোন কল পেয়েছি। ফোন কলে পাওয়া অভাব অভিযোগ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে মেটানোর চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে বেশকিছু সমস্যার সমাধানও করেছি। ফোনে কিছু মানুষের কাছ থেকে পরামর্শও পেয়েছি। শততম পর্বের পর এই কর্মসূচি নিয়ে রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করতে চাই। যা বইয়ের আকারে থাকবে। এই কর্মসূচি ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যেতে চাই।
একইসঙ্গে ‘মানুষের কাছে চল’ কর্মসূচিতেও জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মেয়র। বলেন, এখনও পর্যন্ত শহরের ১১টি ওয়ার্ডে ওই কর্মসূচি রূপায়িত করেছি। প্রায় ১১০ কিমি হেঁটে মানুষের অভাব অভিযোগ শুনেছি। চলতি মাসে ফের সংশ্লিষ্ট কর্মসূচি ২০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে শুরু করব। এবার সমস্ত ওয়ার্ডেই যাব। প্রায় ৫০০ কিমি হাঁটার টার্গেট নিয়েছি।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে এমন কর্মসূচি নিয়ে মেয়রকে খোঁচা দিয়েছে বিরোধীরা। সিপিএম কাউন্সিলার শরদিন্দু চক্রবর্তী বলেন, ‘টক টু মেয়র’ কর্মসূচিতে মেয়রের প্রচার হলেও অভাব অভিযোগের সমাধান সেভাবে হচ্ছে না। পুরসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপির অমিত জৈন বলেন, ভোটের দিকে তাকিয়ে এই কর্মসূচির মাধ্যমে মেয়রের ঢাক পেটানো হচ্ছে। শহরের উন্নয়ন তেমন হচ্ছে না।
(টক টু মেয়রের ‘সেঞ্চুরি’ উপলক্ষ্যে পোস্টার শিলিগুড়িতে। - নিজস্ব চিত্র।)