সন্তানের স্বাস্থ্যহানির জন্য মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। ক্রমোন্নতি ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ও দায়িত্ব বৃদ্ধি। বিদ্যায় ... বিশদ
উল্লেখ্য, গত শনিবার হলদিবাড়ি থেকে এনবিএসটিসি’র বাসে জলপাইগুড়ি আসছিল সাত বাংলাদেশি। বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে, ওই বাসে তল্লাশি চালায় পুলিস ও বিএসএফ। সাতজনকে ধরা হয়। জেরা করে পুলিস কিছু নথিপত্র তাদের কাছে পায়। জানতে পারে তারা বিভিন্ন সময়ে মানিকগঞ্জ দিয়ে ভারতে এসেছিল। জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানার পুলিস জিজ্ঞাসাবাদের পর সাতজনকেই গ্রেপ্তার করে। ধৃতরা সকলে বাংলাদেশের দিনাজপুরের বাসিন্দা। তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পারেন ধৃতদের মধ্যে দু’জন আধার কার্ড, ভোটার কার্ড বানাতে জন্মের নকল শংসাপত্র ফুলবাড়ি-২ পঞ্চায়েত অফিস থেকে নিয়েছিল।
যদিও জাল নথি তৈরি করতে পঞ্চায়েত অফিসের নাম কীভাবে জড়াল সে সম্পর্কে কিছু জানা নেই বলে দায় এড়িয়েছেন ফুলবাড়ি-২ পঞ্চায়েতের প্রধান রফিকুল ইসলাম। তাঁর দাবি, আধার কার্ড তাদের দপ্তর থেকে তৈরি হয় না। তাঁর সংযোজন, আমাদের দপ্তর থেকে কোনও অনৈতিক কাজ হয়ে থাকলে তদন্ত করে দেখব। কেউ দোষী হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সপ্তাহের প্রথম দিন পঞ্চায়েত অফিসে বিভিন্ন কাজ নিয়ে এসেছিল লোকজন। অফিসের কয়েকজন কর্মীকে পুলিসি জিজ্ঞাসাবাদের ছবি নজরে আসে তাঁদের। চলে কানাঘুষো। ভুয়ো নথি তৈরির কথা জানাজানি হতেই সকলেই নিজের নথি ঠিকঠাক রয়েছে কি না সেই নিয়ে আধিকারিকদের প্রশ্ন করেন। যদিও পঞ্চায়েত অফিসের আধিকারিকরা তাঁদের আশ্বস্ত করেন।
বিভিন্ন সময়ে চোরাপথে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর লোক এপাড়ে আসছে। এদের একাংশ অসামাজিক কাজেও জড়িয়েছে। এমনকী মুম্বইয়ে সইফ আলি খানের উপর হামলা থেকে উত্তর দিনাজপুরের পাঞ্জিপাড়ায় পুলিসকে গুলি কাণ্ডে বাংলাদেশ যোগ মিলেছে। সম্প্রতি রাজ্যে পুলিসি অভিযানে প্রচুর বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক ভারতীয় নথি। সেসব নথি তারা কীভাবে তৈরি করল তার তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, সোমবারই বিএসএফ একটি প্রেসবিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, সাত বাংলাদেশি নাগরিককে ধরে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তারা কবে কোথায় কীভাবে জাল নথি তৈরি করেছিল তা পুলিস এবং তাদের গোয়েন্দা বিভাগ খতিয়ে দেখছে।
(ফুলবাড়ি পঞ্চায়েতে তদন্তে পুলিস। - নিজস্ব চিত্র।)