স্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ... বিশদ
পুলিসের অনুমান, মত্ত অবস্থায় তাদের মধ্যে বচসা হয়েছিল। রাতে দু’জনের মধ্যের পুরনো দ্বন্দ্ব নিয়ে বচসার সময়েই একে অপরের উপর হামলা করে। রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে দু’জনেই। দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দু’জনকেই মৃত বলে জানান। যদিও তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে ছুরি বা অন্য কোনও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। তবে কি ওই দুই জোড়া খুনের ঘটনার পিছনে তৃতীয় কোনও ব্যক্তির যোগ রয়েছে? তা নিয়েও বাড়ছে রহস্য। যদিও মৃত হাসানুর মিয়াঁর পরিবারের দাবি, স্থানীয় ৪-৫ জন ওই খুনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জাকির হোসেন মিয়াঁ।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত হাসানুরের বাড়ি ভেটাগুড়ির উত্তর বালাডাঙা গ্রামে ঘটনাস্থলের পাশেই। তবে মৃত ইউসুফ মিয়াঁর বাড়ি অন্যত্র হলেও এলাকার এক বৃদ্ধাকে মা বানিয়ে ওই গ্রামেই থাকত। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর উত্তর বালাডাঙা গ্রামে থাকা শুরু করে সে। বারো বছর আগে মাথাভাঙায় একটি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিল ইউসুফ এবং হাসানুর দু’জনই। সেই সময় দু’জনেরই জেল হেফাজত হয়েছিল। পরবর্তীতে হাসানুর জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়। অভিযোগ, জেল থেকে মুক্তির পরে ইউসুফের স্ত্রীকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন হাসানুর। কিন্তু ইউসুফের স্ত্রী তাতে রাজি হননি। পুলিস জানতে পেরেছে, ইউসুফের স্ত্রী রাজি না হওয়ায় তাঁকে সেই সময় হেনস্তা করেছিল হাসানুর। এরপর অন্য একটি মামলায় ফের সে গ্রেপ্তার হয়। পাঁচ বছর জেলে থাকে। সেই জেলেই ইউসুফ ও হাসানুরের মধ্যে শত্রুতা তৈরি হয়েছিল। মাস পাঁচেক আগে দু’জনেই ছাড়া পায়।
মৃত হাসানুরের স্ত্রী সায়েরা বানু বুধবার বলেন, আমার স্বামীর খুনের পিছনে এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য জাকির ও তার অনুগামী বেশ কয়েকজন জড়িত। আমার স্বামীর খুনিদের শাস্তি চাই। থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য জাকির হোসেন মিয়াঁ বলেন, সব ভিত্তিহীন কথা বলছেন ওই মহিলা। মনগড়া অভিযোগ আমার নামে করা হচ্ছে। এ বিষয়ে কোচবিহারের পুলিস সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গিয়েছে মত্ত অবস্থায় বচসা হয়েছিল ওই দু’জনের। সেই সময়েই হামলা হয়। প্রচুর রক্ত ঝরেই মৃত্যু বলে মনে করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি স্পষ্ট হবে। আমরা ঘটনার তদন্তে নেমেছি।